Petrol & Diesel Price: দাম কমবে পেট্রোল-ডিজেলের! বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে সরকার
গত কয়েকবছর ধরেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে পেট্রোল রিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। আর এভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কার্যত জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্তদের। পেট্রোপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এলপিজি-র দামও। এই অবস্থায় পড়েই কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। তবে এই অবস্থার এর মাঝেই সুখবর এসেছিল রাখী পূর্ণিমার আগে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারাদেশে কমানো হয়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম কমেছে ২০০ টাকা।
এলপিজি-র দাম কমানোর পাশাপাশি দেশবাসীকে আরো এক স্বস্তির খবর দেওয়ার কথা রয়েছে মোদি সরকারের। দেশে খানিকটা কোমর আশা রয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। সূত্রের খবর, এবার প্রতি লিটারে ৩ থেকে ৪ টাকা করে কমে যেতে পারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। অনেকের মতে, দীপাবলির পরেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে পারে কেন্দ্র সরকার। তবে সঠিক তারিখ এখনো জানা যায়নি। এই বিষয়ে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি তেল বিপণন কোম্পানিগুলির উপর চাপ দিতে পারে মোদি সরকার। আর সেভাবেই একসাথে রান্নার গ্যাস ও পেট্রোলের দাম কম রাখতে পারে কেন্দ্র।
এদিকে পেট্রোপণ্যের বর্তমান বাজারদরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে মুম্বইতে পেট্রোল সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানীতে পেট্রোলের দাম রয়েছে লিটার প্রতি দাম ১০৬.৩১ টাকা। যদিও মেট্রো শহরগুলির মধ্যে পেট্রোল সবচেয়ে সস্তা রাজধানী দিল্লীতে। রাজধানীতে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ৯৬.৭২ টাকায়। ডিজেলেরও একই অবস্থা মুম্বইয়ে। মুম্বইতে এক লিটার ডিজেলের দাম ৯৪.২৭ টাকা। যেখানে দিল্লিতে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ৮৯.৬২ টাকা দামে।
উল্লেখ্য, ভারত বেশিরভাগ পেট্রোল ও ডিজেল আমদানি করে বিদেশ থেকেই। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৮০ শতাংশ জ্বালানি তেলই কিনতে হয় বিদেশ থেকে। এক্ষেত্রে রাশিয়া হল পেট্রোল ও ডিজেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। সেই কারণে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশেও বাড়ছে দাম। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শীঘ্রই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটতে পারে মোদি সরকার।