কাঞ্চনকে নিয়ে দুই অভিনেত্রীর চুলোচুলি, একে অপরের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ পিঙ্কি-শ্রীময়ীর
নুসরত, শ্রাবন্তী, শুভশ্রীর দিদি দেবশ্রীর পর মার্কেটে এসেছে কাঞ্চন ঝড়। প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এই মানুষটা দর্শকদের বিনোদন দেন, আজ এই মানুষটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তার স্ত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়।
দুদিন আগেই পিঙ্কি জানান যে তার স্বামী কাঞ্চন মল্লিক ও টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ প্রেম করছেন। এবং তিনি এও বলেন, “দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রেম করতেই পারেন। কিন্তু তা অস্বীকার করলে প্রাক্তণ ও বর্তমান দুজনকেই অসম্মান করা হয়”। এমনকি পিঙ্কি এও অভিযোগ এনেছেন কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে যে তিনি শুধু ছেলের স্কুলের ফিজ দেন কিন্তু ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেনা। পিঙ্কির দাবী, “দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রেম করবেন তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু অনুরোধ, বিয়েটাকে যেন বেড়া হিসেবে ব্যবহার না করা হয়”।
এদিন শ্রীময়ী চট্টরাজ একটি সংবাদমাধ্যমে নিজ কলমে লিখে জানান যে কাঞ্চন মল্লিকের থেকে সে ২৭ বছরের ছোট এবং কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া তার প্রশ্ন, “আচ্ছা, আমাদের অভিনেত্রীদের কি বাড়ি-ঘর নেই? সংসার নেই? লোকলজ্জার ভয় নেই? নাকি, অভিনয় করি বলে সে সবের পাট চুকিয়ে দিয়েছি! ” কাঞ্চন মল্লিক জানান সবটাই নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
আজ কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বিরুদ্ধে। কিন্তু, কেন? জানা যায়, এই শ্রীময়ী পিঙ্কিকে বারবার ফোন করে এবং শেষে হোয়াটস অ্যাপ ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে বলে, “তুমি তোমার বাচ্চাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করছ। তোমার মরে যাওয়া উচিত।” পিঙ্কি পাত্তা দেননি ওই মেসেজের, কিন্তু আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে কাঞ্চন আসবেন এবং ভয়ঙ্কর কিছু একটা হবে। পিঙ্কি চেতলার বাড়ি মা বাবা ও ছেলেকে সাথে নিয়ে থাকেন অনেকদিন ধরে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়ার জন্য তার বাড়িতে সকালে যান। কিন্তু অশান্তির গন্ধ আচ করতে পেরে ভাইকে নিয়ে তড়িঘড়ি চেতলার বাড়ি যান। পথেই গাড়ি আটকায় কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ।
মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে শ্রীময়ী পিঙ্কিকে বলে, “তুই জানিস না কার লেজে পা দিয়েছিস।” এর পরে সে কাঞ্চনেকে উদ্দেশ্য করে বলে , “দাঁড়িয়ে আছ কেন? ববিকে ফোন করো।” কাঞ্চন তখনও পিঙ্কির গাড়ির লক ধরে টানাটানি করে চলেছে, যাতে তাকে গাড়ি থেকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারেন। এরপর শ্রীময়ী আরেকটু শাসিয়ে বলে, “তুই জানিস না, তুই কী ভুল করেছিস। তোকে আমি দেখে নেব।” এরপরেই ধৈর্য রাখতে না পেরে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বিরুদ্ধে পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়।