বাড়ি ফিরছেন পরীমণি, রাজ, আর পরীমনির গর্ভস্থ সন্তান। ঢাকার পথে নায়িকা। নাহ্, আজ তিনি শুধু বিতর্কিত বা চর্চিত নায়িকা নন, তিনি একজন সাহসী ও ভয়ঙ্কর সাহসী মা। কারণ, বাংলাদেশ এখনও মেয়েদের দমিয়ে রাখে। ওই দেশের মেয়েরা এখনও বেশিরভাগ সময় বোরখার আড়ালে থাকেন। স্বাধীন হয়নি বাংলাদেশের মেয়েরা মেয়েরা। যারা স্বাধীনতা দেখেছেন তারা জীবনে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়েছেন। শত বিতর্ক, কুটুক্তি, সমালোচনা মাথায় নিয়েও বীরদর্পে এগিয়ে গিয়েছেন। এই যেমন হলেন অভিনেত্রী পরীমণি।
ঈদের ছুটি কাটাতে কক্স বাজারের নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে সময় কাটান পরী ও রাজ। একের পর এক মায়াবী ছবিতে ভরে ওঠে পরীর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। কেউ পরীমনির রূপের প্রশংসায় মাতেন তো কেউ নিন্দার ঝড় তোলেন। ওরকম স্ফীত পেট নিয়ে ছবি তোলা ঘিরে ওঠে সমালোচনা। বাংলাদেশের মেয়েরা এতটা স্বাধীনতা পেলো কোথা থেকে? তাছাড়া এটা বিদেশ নয় যে খুল্লাম খুল্লা থাকবেন। মেয়েদের সবসময় আড়ালে আবডালে থাকা উচিত। তাছাড়া এত সম্প্রসারণ মেয়েদের মায়েদের জন্য ভালো নয়। কিন্তু, নায়িকা পরীমণি ওসবের ধার ধারেন না । তিনি এখন সবচেয়ে সুখী। স্বামীর হাত ধরে ভাবী সন্তানের আগমনের জন্য দিন গুনছেন।
অবশ্য, পরীমনির হয়ে একজন সমাজকর্মী আওয়াজ তুলেছেন। তার কথায়, “এইখানে, দেখার বিষয় পরীমণির পেট না। দেখার বিষয় পরীমণির সৎসাহস এবং অকপটতা। ক্রমশ হিজাব আর বোরখায় ঢেকে যাওয়া মানচিত্রে পরীমণির এই দুঃসাহস আমি ভালবাসি।” এও বলা হয়েছে, “নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন। পুরুষরা নারীকে কেবলমাত্র যৌনবস্তু মনে করে, তাই পরীমণির ছবিতে তাঁরা নতুন মাকে খুঁজে পাচ্ছে না।”
তিনি এও বলেন, হলিউডে, এমনকী বলিউডেও, বহু সেলেব্রিটি নায়িকা স্ফীত উদরের ছবি প্রকাশ করেছেন এর আগে৷ আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। আমার দেশে এর আগে কোনও সেলেব্রিটি এই সাহস দেখায়নি। পরীমণি দেখিয়েছেন। গর্ভধারণ করলেই পেট দেখিয়ে ছবি পোস্টাতে হবে, এই নিয়ম যেমন কোথাও লেখা নেই, আবার লুকিয়ে ঢেকে-ঢুকে রাখতে হবে, সেটাও কোথাও লেখা নেই। একজন মা, এবং একজোড়া দম্পতি, তাঁদের সন্তানের আগমনকে উদযাপন করছেন তাঁদের মতো করে। তাতে এই মহাবিশ্বের কোনও ক্ষতি হয়নি। মাতৃত্ব সুন্দর। মাতৃত্বের কারণে হওয়া বেবি বাম্প সুন্দর। আপনার দেখতে ইচ্ছা না করলে চোখ বন্ধ করে রাখুন।”