শরিফুল রাজ (Shariful Razz)-এর সাথে পরীমণি (Porimoni)-র বিয়ে হওয়ার পর বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বলেছিলেন, এই বিয়ে আদৌ টিকবে না। তবে এরপর পরীমণি বারবার তাঁর ও রাজের সুখী সংসারের ছবি তুলে ধরেছেন। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ 2022 সাল থেকেই রাজ ও পরীমণির সংসারে চলছে টালমাটাল অবস্থা। আচমকাই পরীমণি তাঁর স্বামীর সাথে বিদ্যা সিনহা সাহা মিম (Vidya Sinha Saha Mim)-এর পরকীয়ার অভিযোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম ও রাজকে তুলোধোনা করেন তিনি। কিন্তু মিম তাঁর সাথে রাজের পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেন। এরপর হঠাৎই গত বছরের শেষে 31 শে ডিসেম্বর তাঁর অনুরাগীদের আগাম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পরীমণি ফেসবুকে লেখেন, তাঁর সাথে রাজের সম্পর্কে ইতি পড়তে চলেছে।
এমনকি পরীমণির অভিযোগ ছিল, রাজ তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রক্তমাখা বালিশের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন নায়িকা। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি। বীতশ্রদ্ধ রাজ বলেছিলেন, তাঁদের বেডরুম বাজারে এনে ফেলেছেন পরীমণি। তবে এরপর তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান শামীম মুহম্মদ রাজ্য (Shamim Muhammad Rajya)-র কথা মনে করে নিজেদের ঝামেলা মিটিয়ে একসাথে থাকতে শুরু করেন রাজ ও পরীমণি। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত ঘটে গত 29 শে মে। বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত প্লে বয় রাজের সাথে ওই ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন নায়িকার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে পরীমণির সাথে তাঁর স্বামীর অশান্তি চরমে ওঠে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন রাজ। তিনি ও নায়িকাদের একাংশ পরীমণিকে দায়ী করে বলেন, নায়িকা নিজেই সংসার ভাঙতে এই কারসাজি করেছেন।
এর আগে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে পরীমণি ও রাজকে একসাথে দেখা গেলেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তা লোক দেখানো। এমনকি রাজ্যের কোনো খোঁজখবর নেন না রাজ। পরীমণি হাসপাতালে থাকাকালীন স্ত্রীকে দেখতে যাননি তিনি। বর্তমানে পরীমণি নিজেকে রাজের প্রাক্তন বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি রাজ্যের মা হিসাবে পরিচিত হতে চান। ইতিমধ্যেই রাজের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ। পরীমণি আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ চান।
তাঁর দাবি, রাজ জনসমক্ষে তাঁকে অপমান করেছেন। গত বছর ‘দামাল’ ফিল্মটি রিলিজের পর থেকে রাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন পরীমণি। ফলে রাজের থেকে বিবাহ বিচ্ছিন্না হয়ে রাজ্যের মায়ের পরিচয়েই বাঁচতে চান পরীমণি।