Post Office Scheme: অল্প সময়ে টাকা ডবল, ব্যাঙ্কের থেকে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে পোস্ট অফিসের এই স্কিম
নিজের রোজগারের টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে সেসব ঝুঁকি ছাড়াই ভারতীয় ডাকবিভাগ দশকের পর দশক রয়ে গেছে একটি সুরক্ষিত বিবিয়োগের ঠিকানা হয়ে। আর এবার ভারতীয় ডাক বিভাগ নিয়ে এল আকর্ষণীয় একটি সঞ্চয় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা।
পোস্ট অফিসের বিনিয়োগের এই ব্যবস্থাটি হল কিষান বিকাশ পত্র বা KVP। এই স্কিমে আপনি আপনার ইচ্ছে ও সামর্থমতো টাকা জমা করতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাকে যে সুদ দেওয়া হবে, সেই পরিমান সুদ হয়তো আপনাকে কোনো ব্যাঙ্ক দেবে না। তবে নিয়মিত যাওয়া জমা দেওয়া এই ব্যবস্থার একটি বিশেষ দিক রয়েছে। তাই একনজরে দেখে নিন টাকা জমানো ও ভালো রিটার্ন পাওয়ার এই দারুন ব্যাবস্থাটির বিস্তারিত।
এই স্কিমটির নাম শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন এটি কৃষকদের জন্য। তবে কৃষক সহ যে কেউ এই স্কিমের শংসাপত্র নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। তবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো উর্ধসীমা নেই এই স্কিমের। কিন্তু আপনি যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার প্যান কার্ডের বিস্তারিত প্রদান করতে হবে। এবার আসি স্কিমের সুদের বিষয়ে। এই স্কিম থেকে আপনি ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পেয়ে যাবেন। তবে এই সুদ আপনার ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে জমা হবে।
স্কিমটি মূলত ১২৪ মাসের হয়ে থাকে। তবে তারপর আপনি চাইলে এই স্কিম চালু রাখতে পারেন। কিন্তু এই বিষয়ে একটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি- স্কিম শুরুর ১ বছরের মধ্যে আপনি যদি স্কিমটি তুলে নিতে চান, তাহলে কিন্তু আপনি কোনরূপ লভ্যাংশ পাবেন না। এই স্কিমটি নেওয়ার জন্য আপনার নিকটবর্তী যেকোনো পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানেই আপনাকে পরবর্তী পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।