Post Office Scheme: ৫০০ টাকার কম জমা দিয়েও কোটিপতি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ডাকবিভাগ
নিজের রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর এই সঞ্চয় যদি হয় ঝুঁকিহীন এবং তার সাথে যদি পাওয়া যায় ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে এবার সেসব ঝুঁকি ছাড়াই ভারতীয় ডাকবিভাগ নিয়ে এল আকর্ষণীয় একটি সঞ্চয় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা।
পোস্ট অফিসের ‘পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড’ হল একটি লাভজনক দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের দুর্দান্ত স্কিম। এই স্কিমে আপনি আপনার ইচ্ছে ও সামর্থমতো টাকা জমা করতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাকে যে সুদ দেওয়া হবে, সেই পরিমান সুদ হয়তো আপনাকে কোনো ব্যাঙ্ক দেবে না। বলা বাহুল্য, প্রতিদিন ৫০০ টাকার কম বিনিয়োগ করেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে আকর্ষণীয় এই স্কিমে। তবে নিয়মিত টাকা জমা দেওয়া এই ব্যবস্থার একটি বিশেষ দিক। তাই একনজরে দেখে নিন টাকা জমানো ও ভালো রিটার্ন পাওয়ার এই দারুন ব্যাবস্থাটির বিস্তারিত।
এই স্কিমের জন্য আপনি ভারতের যেকোনো পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। এই স্কিমে নূন্যতম ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে এর মেয়াদ আরো দুবার ৫ বছর করে বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ এই স্কিমের মেয়াদ সর্বাধিক ২৫ বছর অবধি বাড়ানো যেতে পারে। এই স্কিমে বিনিয়োগকারীরা ৭.১ শতাংশ হারে রিটার্ন পেতে পারবেন। এছাড়াও সরকারি সুরক্ষার মাধ্যমে আপনার উপার্জিত টাকা এই স্কিমে বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে।
এবার এই স্কিমে যেভাবে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেই বিষয়টি দেখে নিন। এই স্কিমে আপনি যদি প্রতিমাসে ১২,৫০০ টাকা করে জমা দেন, তাহলে একবছরে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ হচ্ছে ১,৫০,০০০ টাকা। সেক্ষেত্রে ১৫ বছরের সঞ্চয় হবে ২,২৫০,০০০ টাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি রিটার্ন পেয়ে যাবেন ৪০.৮২ লক্ষ টাকা। এবার এই স্কিমকে যদি আপনি ২৫ বছর অবধি বর্ধিত করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ৩৭.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেই রিটার্ন হিসেবে পেয়ে যাবেন ১.০৩ কোটি টাকা।