প্রেম বিরহ মানুষের জীবনে এতটাই গভীর ছাপ ফেলে যে সেই সময় মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এমনিতে মানুষ মরতে ভয় পায়, অথচ প্রেমে দাগা পেলে বা কোনো কাজে উত্তীর্ণ না হতে পারলে তখন ওই মৃত্যু হয়ে ওঠে পরম বন্ধু, যাকে জড়িয়ে চির ঘুমে বিদায় নেওয়া যায়। ঠিক এরকমটাই কি হয়েছিল অভিনেত্রী পল্লবী দে-র সঙ্গে?
ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তত তাই বলছে। খুন নয়। আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী। এদিকে, পল্লবীর বাবা বলেন, যদি তার মেয়ে আত্মহত্যাই করবেন তাহলে কেউ আগের দিন ধোঁকার ডালনা শিখতে চায় মায়ের থেকে?
কিন্তু, সাগ্নিক কী বলছেন? কী হয়েছিল রবিবার সকালে? কেন বিদায় নিলেন পল্লবী? এপ্রিল মাসে সাগ্নিক ও পল্লবী গড়ফার এক আবাসন ভাড়া নেন। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করেন। পল্লবী নিজে একবার একটি ছবি পোস্ট করে যা দেখে অনুমান হয়তো তারা বাগদান সেরে নিয়েছেন। কিন্তু, লিভ ইন করতেন সাগ্নিকের সঙ্গে। মাত্র এক মাসের মধ্যেই আত্মহত্যার পথ কেন বেছে নিলেন পল্লবী?
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবীর কথা কাটাকাটি হয় শনিবার রাত থেকে। এমনকি সেই অশান্তি রবিরার সকালেও হয়। সেই সময় ধূমপান করতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঘরে ফিরে দেখেন যে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করা আছে। তারপর লক এর হোল দিয়ে দেখেন পল্লবী বেডশিট গলায় পেঁচিয়ে ঝুলছে। এভাবেই কি শেষ হল ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’-র ২৫ বছরের জীবন?
