ইতিমধ্যে হাতে চলে এসেছে প্রয়াত অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার ময়না তদন্তের রিপোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার জুহুর কুপার হাসপাতাল জানিয়ে দেয় যে চিকিৎসার আগেই তিনি মারা গিয়েছেন।
এদিকে মৃত্যুর আগের দিন রাতের দুটি ঘটনা সামনে আসছে। ১. বুধবার রাত ৮ টা থেকে ৯:৩০ টা নাগাদ সিদ্ধার্থ তার মায়ের সঙ্গে নিজ আবাসনে পায়চারি করছিলেন। এরপর হটাৎ করেই তার শরীর খারাপ অনুভব হয়। তড়িঘড়ি ঘরে আসেন দুজন। শরীরে অস্বস্তি বাড়লেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি অভিনেতা। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সকালে নির্ধারিত সময়ে ঘুম থেকে না উঠলে ৯:৩০ টা নাগাদ তাকে ডাকা হয়। এবং তখনই তার নিথর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। এরপর ১০:৩০ টার মধ্যে জুহুর কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রথমে ইসিজি করানো হয়। এবং ডাক্তারদের মতে চিকিৎসার অনেক আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকলেই তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়।
দ্বিতীয় খবরটি হল, সিদ্ধার্থের জিম ইন্সট্রাকটর জানান ওইদিন রাতে মিটিং থেকে ১১:৩০ টার দিকে বাড়ি ফেরেন সিদ্ধার্থ। সেদিন হালকা খাবার খেয়ে রাত ১:৩০ টা নাগাদ ঘুমোতে যান। পরের দিন সকালে তার পরিবার নিথর শরীর উদ্ধার করে।
পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে, সিদ্ধার্থের মা ও শেহনাজ গিল সিদ্ধার্থের বাড়িতেই রাতে ছিলেন। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এও বলছে যে শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই নাকি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। রাতে শরীর অসুস্থ বোধ করলে শেহনাজ ও সিদ্ধার্থের মা তাকে লেবু জল এবং আইস্ক্রিম খেতে দেন। শরীরে অস্বস্তির জন্য ঘুম আসছিল না কিছুতেই সিদ্ধার্থের। শেহনাজকে পাশে থাকতে বলেন তিনি। পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন। শেহনাজ তাই করতে থাকেন। শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। সেই ঘুম থেকে আর ওঠেননি সিদ্ধার্থ। এদিকে, অন্য সূত্র বলছে, শুটের মাঝপথেই সিদ্ধার্থের খবর পেয়ে ছুটে আসেন শেহনাজ। এদিকে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেহনাজের বাবা বলেছেন, “শেহনাজ বারবার বলছে বাবা ও আমার হাতে মাথা দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে… আমি এবার কীভাবে বাঁচব…।”
সুতরাং মৃত্যুর আগের দিন রাতে ঠিক কি হয়েছিল সবটাই ধোঁয়াশা। তবে, গত কালকেই ময়না তদন্তের জন্য শরীর পাঠানো হয়। আজ রিপোর্ট আসে। অনেকের প্রশ্ন, সিদ্ধার্থ একজন ফিটনেস ফ্রিক অভিনেতা ছিলেন। তাহলে কেন তার হার্ট অ্যাটাক হবে এত তাড়াতাড়ি! সূত্রের খবর, ময়দাতদন্তের রিপোর্টে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এটি কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এরইমধ্যে, অভিনেতার বাড়ির সামনে এবং হাসপাতালে বাইরে ভিড় জমতে শুরু করেছে।