GossipHoop Plus

হিন্দু স্ত্রীকে জোর করে নামাজ ও বোরখা পরতে বলেছিলেন শাহরুখ, স্বীকার করলেন নিজমুখে

কিং খান যেমন সিনেমাতে রোম্যান্টিক তেমনি তিনি বাস্তবে ততটাই রোম্যান্টিক। তাই তো শাহরুখকে বলিউডের রোম্যান্স কিং বলা হয়। ২৯ বছর আগে শাহরুখের কেরিয়ার শুরুর আগেই গোঁড়া হিন্দু পরিবারের মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেন। প্রথমদিকে পরিবারের মধ্যে আপত্তি ছিল ঠিকই, কিন্তু সেসবে কখনওই পাত্তা দেননি লাভ বার্ডস!

১৯৯১ সালে শাহরুখ বিয়ে করেন গৌরিকে। সেই থেকে তাদের পথচলা শুরু। ২৯ বছরে এক ফোঁটাও প্রেম কমেনি। সম্প্রতি ভারতের একটি জাতীয় সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে কিং খান বৈবাহিক জীবনের নানা মজার তথ্য তুলে ধরলেন।

কিন্তু জানেন কি, শাহরুখ গৌরিকে বলেছিলেন বোরখা পড়ে নামাজ পড়তে, নাম বদলে নতুন নাম ‘আয়েশা’ রাখতে। ২৯ বছরের স্মৃতিচারণ করতে নিজেই অভিনেতা বললেন।

আসল ঘটনা হল, তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন পুরো বাড়ি আমন্ত্রিতে ভরা ছিল। সেখানেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় ঘোর জল্পনা। যাদের মধ্যে অনেকে পাঞ্জাব থেকে এসেছিলেন। শাহরুখ দেখেন বেশ কিছু আমন্ত্রিতদের মুখে একটাই প্রশ্ন যে গৌরি হিন্দু না মুসলিম।

গৌরি মুসলমান হলে নাম এমন কেন? অনেকে আবার মন্তব্য করেন স্ত্রী হিন্দু হলে সে নামাজ পড়বেনা? বোরখা পড়বেনা? নাম পরিবর্তন করবেনা? তখন সবার মুখ বন্ধ করতে স্ত্রী গৌরিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি বোরকা আর নামাজ পড়ে সবার সামনে দেখাও। তোমার নাম পরিবর্তন করে আয়েশা রাখো।’

যদিও তাঁর এই কথায় বাড়ির সবাই বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তার বাড়ির সকল মানুষ জানতো শাহরুখ কখনোই ধর্মীয় ব্যাপারে নাক গলাতেন না। তিনি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন। এই ঘটনায় গৌরী অবাক হননি কারণ তিনি তার স্বামীকে ভালোভাবেই চিনতেন।

সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক পরে গৌরি “কফি উইথ করণ ” রিয়ালিটি শোতে এসে জানিয়েছিলেন বিয়ের দিনের সেই ঘটনার পর ধর্মীয় ব্যাপারে কখনোই কোনো চাপ দেননি শাহরুখ। শুধুমাত্র সেটা সেদিনের অতিথিদের মুখ বন্ধ করার এক প্রয়াস ছিল। তিনি বলেছিলেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা আত্মীয়দের কৌতূহল দেখে বিরক্ত হয়েই শাহরুখ এই কাজ করেন। গৌরি আরো জানান, ‘আমার ধর্ম বদলানোর ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা মাথায় আনতে হয়নি কোনো দিন। শাহরুখ কখনোই আমাকে এসব নিয়ে বলে না”। এখনো বিয়ের এতবছর পর এখন সুখী দম্পতি।

Related Articles