মঙ্গলবার থেকেই বাজারে মিলবে না আলু! দাম বৃদ্ধির চিন্তায় ঘুম উড়ল মধ্যবিত্তের
বাজারে সবকিছুরই দাম অগ্নিমূল্য। দাম বেড়েছে মাংসের। বাংলাদেশ থেকে মাছের আমদানিতে বাধা পড়ায় মাছের দাম বৃদ্ধিরও আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। আর এবার কোপ পড়ল আলুর (Potato Price Hike) বাজারে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জেরে সোমবার সকাল থেকে হিমঘর থেকে আলু বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার শেষ হিমঘর থেকে আলু বেরিয়েছে। সেই আলুও বাজারে প্রায় শেষের দিকে। এমতাবস্থায় সোমবার থেকেই বাজারে আলুর যোগান কমতে শুরু করেছে। যেটুকু মজুত করা রয়েছে তার দামও আকাশছোঁয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ হাজার মেট্রিক টন আলুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই হিমঘর থেকে আলু বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে এক ধাক্কায় আলুর দাম যে অনেকটা বেড়ে যেতে চলেছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সোমবার বাজারের পরিস্থিতি দেখলে বোঝা যায় আলুর দাম অনেকটা বেড়েছে। এদিন জ্যোতি আলু ৩৪-৩৫ টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলু ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। জেলার বাজারগুলিতেও একই থেকেছে দাম।
কিন্তু হঠাৎ হিমঘর থেকে আলু বেরোনো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন? আসলে বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে রাজ্য সরকারের তরফে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবার আলু যাতে অন্য রাজ্যে না যায় তার জন্যও বর্ডারে কার্যত পুলিশের জুলুমবাজি চলছে বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন ধরে বর্ডারে গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে আলু।
উল্লেখ্য, এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন বাজারে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে। কিন্তু আলু ব্যবসায়ীদের কথা সরকার ভাবে না বলে উঠেছে অভিযোগ। যদিও ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, হিমঘর থেকে আলু বেরনো বন্ধ হয়ে গেলে তাদেরও ক্ষতি হবে। আলু স্টকে থেকে যাবে। তবে পরিস্থিতিই এমন যে বন্ধ না ডেকে উপায় নেই।