বাঙালি মানে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ চিংড়ি যদিও মাছ নয়। চিংড়ি জলের পোকা কিন্তু এই জলের পোকার যে কত কদর তা একবার কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখবেন। একটা ডিসের একেবারে আকাশ ছোঁয়া দাম। তাহলে রেস্টুরেন্টে যদি এত সুন্দর করে জলের পোকাকে পরিবেশন করতে পারে তাহলে আপনার বাড়িতেও আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ চিংড়ি মাছের কোপ্তা বিরিয়ানি। শুধু এই রেসিপিটি পাতে পড়লে জমে যাবে দুপুরে লাঞ্চ। বাড়িতে হঠাৎ করে অতিথি এসেছে তেমন মাছ, মাংস ফ্রিজে রাখা নেই? আছে গুটিকতক চিংড়ি মাছ আর আছে ভালো চাল? তাহলে আর দেরি কেন? অতিথিকে তাক লাগানোর জন্য বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ এই রেসিপিটি।
উপকরণ –
চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম
ভালো চাল ২০০ গ্রাম
কুচি করা পেঁয়াজ তিনটি
আদা বাটা এক টেবিল চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদমতো
বিরিয়ানি মশলা দুই থেকে তিন টেবিল চামচ
দুধ এক কাপ
সামান্য পরিমাণে কেশর
আতর সামান্য
সাদা তেল পরিমান মত
ঘি দুই থেকে তিন টেবিল চামচ
প্রথমেই চিংড়ি মাছকে খুব ভালো করে ধুয়ে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। সামান্য পরিমাণে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে চিংড়ি মাছকে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে, কড়াইতে ফ্রাইং প্যান গরম করে তাতে তেল গরম করে তার মধ্যে গোল গোল করে বল করে ভালো করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর ওই তেলে সামান্য পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে নিতে হবে।
ভাত অর্ধেকটা সেদ্ধ করে নিতে হবে। পুরোটা সেদ্ধ করবেন না। এরপর একটি প্রেসার কুকারের মধ্যে সাদা তেল খুব ভালো করে ব্রাশ করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে প্রথমে ভাত দিয়ে দিতে হবে। ভাতের উপরে পেঁয়াজ ভাজা, বিরিয়ানি মশলা, দুধে কেশর গুলে দিয়ে সামান্য পরিমাণে আতর দিয়ে কয়েকটা কোপ্তা দিয়ে আবারও তার উপরে ভাত দিতে হবে। এইভাবে বারবার ভাত এবং কোপ্তা দিয়ে সাজিয়ে পরপর রেখে দিন। কেউ যদি ডিম সেদ্ধ বা আলু খেতে পছন্দ করেন, তারা আলু এবং ডিম এর মধ্যে যোগ করতে পারেন।
খুব ভালো করে উপর ওপর সাজিয়ে দিয়ে তার ওপরে ঘি, বিরিয়ানি মশলা আবারো ভালো করে দিয়ে প্রেসার কুকার বন্ধ করে দিন। তবে কখনই গার্ডার বা সিটি দেবেন না। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য দমে রান্না করতে হবে। এরপরে গ্যাস বন্ধ করে বেশ খানিকক্ষণের জন্য স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে দিন। তারপর প্রেসার কুকার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। স্যালাডের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘চিংড়ি মাছের কোপ্তা বিরিয়ানি”।
