বিগত কয়েক সপ্তাহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষের কাছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। বর্ষার শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছিল গোটা রাজ্যে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছিল নাগরিকদের কাছে। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে দিনের পর দিন। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মধ্যবিত্তদের কাছে।
তবে এবার জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এই বিষয়টি থেকে খানিকটা স্বস্তি পেল বঙ্গবাসী। এবার একইসঙ্গে দাম কমে গেল সবজি থেকে শুরু করে মাছ ও মাংসের। আর এই অবস্থায় যে খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চলেছে মধ্যবিত্তরা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সবজির বাজারের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে যে কাঁচালঙ্কা এতদিন ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তার দাম কমে হয়েছে ১৫০ টাকা প্রতি কেজিতে। ঢেঁড়সও এখন মিলছে ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। কেজি প্রতি পটলের দামও রয়েছে পঞ্চাশের নীচে। তবে টমেটো এখনো অগ্নিমূল্য। বাজারে টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে ১৫০-১৭০ টাকা।
এদিকে মাংসের দোকানে উঁকি দিলে সেখানেও রয়েছে স্বস্তিজনক খবর। শ্রাবণ মাস শুরু হতেই মুরগির দাম কমেছে অনেকটাই। কলকাতার বাজারে কাটা মুরগির মাংস বিকোচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজিপ্রতি দামে। এদিকে গত মুরগির দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকার নীচে। তবে মাটনের দাম কিন্তু রয়েছে আকাশচুম্বী। কলকাতার বাজারে খাঁসি বা পাঁঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি প্রতি দামে।
এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে দাম কমার বিষয়টি। এখন ছোট সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকার কম দামে। তবে ইলিশের সাইজ একটু বড় হলেই সেখানে দাম হয়ে যাচ্ছে প্রতি কেজিতে ৯০০-১১০০ টাকা। এছাড়াও কলকাতার বাজারে কাটা রুই মাছের দাম রয়েছে ২৫০ টাকা প্রতি কেজিতে। তেলাপিয়া মাছের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ১২০ টাকা।