Business Idea: বাজারে হু হু করে বাড়ছে চাহিদা, এই ব্যবসা শুরু করতে পারলেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার আয়
বর্তমান আওময়ে অনেকেই চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে মন দিচ্ছেন ব্যবসায়। কেউ ছোট কোনো ব্যবসা করতে আগ্রহী হচ্ছেন, কেউ আবার বড় মূলধন দিয়ে বড় ব্যবসায় মনোনিবেশ করছে। এই ছবিটা বদলেছে বিগত কয়েকবছরেই। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে যে বিগত কয়েকবছরে ভারতে ‘স্টার্ট-আপ’ সংস্থার সংখ্যাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে অনেকেই শুরু হওয়া ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, অনেকেই আবার মাঝপথে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। তবে এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার কথা বলবো, যা একবার শুরু করলে আর বন্ধ করতে হবেনা সহজ কোনো কারণে।
বর্তমান সময়ে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে হার্বাল বা ভেষজ পণ্যের চাহিদা। তাই এই পণ্যের ব্যবসা একটি লাভজনক বিকল্প হতে চলেছে। কারণ হার্বাল তেলের উৎপাদন যার চাহিদা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্কিন কেয়ার সেগমেন্ট-এর ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এটিকে কার্নেল তেলও বলা হয়। এই গন্ধহীন তেলটি এপ্রিকটের বীজ বা কার্নেল থেকে মন্থন করা হয়। প্রাকৃতিক এবং ভেষজ সমাধানের জন্য এই তেলের চাহিদা বাড়ছে ভারতের মতো দেশে, যেখানে আয়ুর্বেদ বহুল প্রচলিত।
এবার আসা যাক ব্যবসার কথায়। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই তেলের ব্যবসা বৃদ্ধির সাথে সাথে একজন প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন। সম্প্রতি, KVIC এই বিষয়ে একটি বিশদে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে এই ব্যবসার ধারণা, ব্যবসার বিকাশ, বিপণন, অর্থ ও ব্যবস্থাপনার একটি বিশদ রূপরেখা দেয়। এপ্রিকট অয়েল প্রসেসিং ইউনিটের জন্য প্রকল্পের মোট খরচ হবে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে আপনি পাবেন ৫.৮৫ লক্ষ টাকার মেয়াদী ঋণ, ৩.৮৬ লক্ষ টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল। তবে এই ব্যবসায় আপনাকে আপনার নিজস্ব মূলধন হিসেবে ১ লক্ষ টাকার মক্ত বিনিয়োগ করতে হবে৷
এবার দেখে নেওয়া যাক যে কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে হবে। এই বিশেষ ভেষজ তেলের সম্পূর্ণ শিল্প সেটআপের জন্য প্রয়োজনীয় আনুমানিক মোট জায়গা দরকার পড়বে অনেকটাই। কাঁচামাল মজুত, তার প্রসেসিং, প্রোডাক্ট মজুত সহ একাধিক কাজের জন্য ১০০-১২০০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন হবে। এবার প্রতিটি ইউনিটের জন্য মোট জনবল হিসাবে আপনার ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। তবে ঠিকমতো চালাতে পারলে এই ব্যবসা থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করা সম্ভব হবে।