ব্যক্তিবিশেষে জীবনের সংজ্ঞা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে দার্শনিকদের মতে, জীবন হল নদীর মতো। কারণ জীবনের শুরু থেকে শেষ অর্থাৎ, জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি প্রত্যেককেই একটা দীর্ঘ যাত্রা করতেই হয়। আর এই লম্বা যাত্রাপথে দেখা হয় অনেকের সাথে, নিতে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয় নানারকম সব অভিজ্ঞতা। আর সবটুকু নিয়েই গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হয় আমাদের সকলকেই। আর মাঝের এই অধ্যায়ের নাম হল সম্পর্ক। সম্পর্ক ছাড়া জীবন অর্থহীন।
আর একজন পুরুষ বা মহিলার কাছে বিয়ে হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই একটি ঘটনার পর দুটি জীবন বদলে যায় অনেকটাই। বদলে যায় চারপাশ, বদলে যায় জীবনধারা, বদলে যায় সবকিছু। আর এক্ষেত্রে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলে এই চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তবে বিয়ে করার আগে জেনে নিন যে স্বামী ও স্ত্রীয়ের বয়সের তফাৎ কত হওয়া উচিত? এই বিষয়ে বিজ্ঞানই বা কি হলে? আসুন জেনে নিই।
বিয়ের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা হল স্বামীর বয়স স্ত্রীয়ের থেকে বেশি হতে হবে। এই ধারণা আমাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। তবে এই নিয়ম ভেঙেছেন অনেক বিখ্যাত মানুষজন। যেমন শচীন টেন্ডুলকার তার স্ত্রীয়ের থেকে বয়সে ৬ বছরের ছোট। একইভাবে শাহিদ কাপুরের বয়স তার স্ত্রীয়ের থেকে কম। একইভাবে নিক জোনাস প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার থেকে বয়সে ছোট। তবে আমাদের সমাজে এখনো বয়সে বড় স্ত্রীকে অনেক কটূক্তি শুনতে হয়। কিন্তু এটা মোটেই ঠিক নয়।
বিজ্ঞানের মতে, বিয়ে হল যৌন সম্পর্ক স্থাপনের একটি বিশেষ ব্যবস্থা। আর এই কাজটি ককরার জন্য মেয়েদের শরীর তৈরি হয় ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে। যেখানে ছেলেরা যৌন মিলনের জন্য তৈরি হয় ৯ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। তবে এমডেফ দেশে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের নূন্যতম বয়স হল ২১ বছর, যেখানে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বয়স ১৮ বছর। তার অর্থ কিন্তু এটা নয় যে বয়সে ৩ বছরের ছোট মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে। বিজ্ঞান কিন্তু একথা কখনোই বলে না।