তাপস পাল (Tapas Pal) যেদিন প্রয়াত হয়েছিলেন, তাঁর জন্য ছিল না গান স্যালুট। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া নন্দিনী (Nandini Pal) ও সোহিনী (Sohini Pal)-এর পাশেও ছিল না কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছিল তাপস পালের প্রয়াণবার্তা। সালটা ছিল 2020। দুটি বছর ঘুরে গিয়েছে চোখের উপর দিয়ে। অবহেলায় তাপসের মৃত্যুর অভিযোগে নন্দিনীর চাওয়া বিচারের কথাও হয়তো এতদিনে ভুলে গিয়েছেন সকলেই। কিন্তু আবারও ঘুরে এসেছে অভিশপ্ত 18 ই ফেব্রুয়ারি। এদিন একজন বন্ধু তৃতীয় প্রয়াণবার্ষিকীতে আরেক বন্ধুকে স্মরণ করলেন। তিনি আর কেউ নন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)।
না, এবার তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’ নন, তারকা নন। তিনি শুধুই একজন বন্ধু। তাপসের তৃতীয় প্রয়াণবার্ষিকীতে বন্ধুকে স্মরণ করে ইন্সটাগ্রামে 18 ই ফেব্রুয়ারি, বেলার দিকে প্রসেনজিৎ ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিটি তাপস ও প্রসেনজিৎ অভিনীত একটি ফিল্মের স্টিল যাতে তাপস, প্রসেনজিৎ-এর মুখ দুই হাত দিয়ে ধরে কিছু বলছেন। ছবিটি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ, তাপসকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে লিখেছেন, তিনি শিল্পী ছিলেন। তাঁকে মানুষ শিল্পী হিসাবেই মনে রাখবেন। আর মনে রাখবেন তাঁর মুখের হাসি। এরপরেই নেটিজেনদের একাংশ এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, রাজনীতি একজন শিল্পীকে শেষ করে দেয় এবং তার উদাহরণ হলেন তাপস পাল।
অনেকেই মনে করেছেন তাপসের ডেবিউ ফিল্ম ‘দাদার কীর্তি’-র কথা। অনেকে লিখেছেন, শিল্পীর একটা ভুল তার সারাজীবনের সুন্দর কাজকে কলুষিত করে দেয়। কেউ তাঁকে মানুষ ভেবে ঠিক-ভুলের বিচার করে না। অনেকে লিখেছেন “ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব” লাইনের জন্য তাপসকে সকলে মনে রাখবেন। মৃত্যুর তিন বছর পরেও প্রয়াত অভিনেতাকে শুনতে হল ‘চন্দননগরের মাল’, ‘চোর’-এর মতো কটুক্তি। কিন্তু তাপসের বলা ‘’ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব” কথাটির আগে ও পরে বেশ কিছু অন্য কথাও ছিল। আদৌ এই উক্তিটি তাপস মহিলাদের অসম্মান করতে করেছিলেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক । কারণ ইউটিউবে ঘুরে বেড়ানো ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাবে, খুব ভালোভাবেই এডিট করে শুধুমাত্র তাপসের ওই কথাটি তুলে ধরা হয়েছে।
তাপস চুরি করেছেন কিনা তা কিন্তু আজও সম্পূর্ণ রূপে প্রমাণিত নয়। তবে কঠোর বাস্তব হল, একজন শিল্পীর উপর সব অপরাধের দায়ভার চাপিয়ে মূল অপরাধীরা ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন ।
View this post on Instagram