কথায় বলে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। সেরকমই কি এবার পুরোনো সম্পর্ক মাথা চারা দিয়ে উঠছে? বোধ হয় তাই। কথা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং তার প্রথম ও প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায় সম্পর্কে। একটা সময় দারুন বন্ধুত্ব ছিল দুজনের মধ্যে, সেই বন্ধুত্ব থেকে শুরু হয় প্রেম এবং বিয়ে। ১৯৯২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এই দুই তারকা। বিয়ে করে প্রায় তিনটে বছর সংসার, সিনেমা সব করেন । কিন্তু, কি এমন অঘটন হয়ে যায় যে তিন বছরের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুজন। পরবর্তীতে দেবশ্রী আর বিয়ে করেননি ঠিকই, কিন্তু প্রসেনজিৎ আরো দুবার বিয়ে করে বর্তমানে চুটিয়ে সংসার করছেন স্ত্রী অর্পিতা ও ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গেও প্রসেনজিৎ এর সম্পর্কের গুজব ওড়ে, এখনও সেই গুজব টাটকা। কিছু বছর আগে দুজনে প্রাক্তন নামে একটি সিনেমাও করে নেন। যদিও প্রসেনজিৎ এর প্রাক্তন দেবশ্রী রায়। কিন্তু, সেই দেবশ্রীকে নিয়ে প্রসেনজিৎ আর কোনো সিনেমা করেননি বা দেবশ্রী নিজেও কখনো ভাবেননি প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় আসা যায়।
এদিকে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর নতুন ছবি কাছের মানুষ মুক্তি পাবে খুব শীঘ্র। বর্তমানে দেব ও প্রসেনজিৎ দুজনেই ছবির প্রচারে ব্যস্ত।এই ছবির প্রচারকে কেন্দ্র করেই দেব প্রসেনজিৎ এর কাছে প্রশ্ন রাখেন তার ৪ টি বিয়ে নিয়ে, প্রসেনজিৎ অবশ্য বলেন “৪ টে নয়, ৩ টে”। এরপরেই দেবশ্রীর স্মৃতি টেনে বলেন, “আমার তিনটে বিয়ের মধ্যে প্রথম বিয়ে ছোটবেলার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দেড় বছর বেড়তে পারেনি বাড়ি থেকে। কিন্তু তারপর যখন বেরলাম পর পর নটা ছবি সাইন করেছিলাম।”
দেবশ্রীকে কি তাহলে আবার ফিরে পেতে চাইছেন প্রসেনজিৎ? হয়তো – হ্যাঁ। কারণ, বুম্বাদা’র কাছে প্রশ্ন রাখা হয় যে তিনি যদি অতীতে ফিরতে পারতেন কোনও সম্পর্ক ঠিক করতে পারতেন তাহলে কোন সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতেন? উত্তরে প্রসেনজিৎ সটান বলেন, ‘আমার জীবনে সম্পর্ক গড়েছে, ভেঙেছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার প্রথম স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে অনেকদিন কথা নেই, দেখাও নেই। দেখা হয়নি বলেই হয়তো কথা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু, আমি চাইব একবার দেখা করে বলতে যে, যাতে আমরা অন্তত বন্ধুত্বের জায়গায় চলে আসতে পারি।’