শুটিং থেকে ফিরে রাত জেগে পড়াশোনা, ‘পুবের ময়না’র ঐশানী বাস্তবে কোন ক্লাসে পড়ে জানেন!
গত মাসে জি বাংলায় শুরু হয়েছে একগুচ্ছ নতুন সিরিয়াল। তার মধ্যে অন্যতম ‘পুবের ময়না’। সন্ধ্যা ছটার স্লটে ‘অষ্টমী’ শেষ হওয়ার পর সেই জায়গা নিয়েছে নতুন শুরু হওয়া পুবের ময়না। বিপদের হাত থেকে বাঁচতে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় পালিয়ে আসে এক মেয়ে। তারপর তার ঠাঁই হয় কলকাতার এক বনেদি বাড়িতে এবং তারপর এক পরিস্থিতিতে বিয়ে হয়ে যায় সেই বাড়ির ছেলের সঙ্গে। এই সিরিয়ালে প্রথম বার জুটি বেঁধেছেন গৌরব রায়চৌধুরী এবং ঐশানী দে (Oishani Dey)।
অভিনয় এবং পড়াশোনা দুটোই চালাচ্ছেন ঐশানী
সিরিয়ালে ওপার বাংলার এক তরুণী মেয়ে ময়নার চরিত্রে অভিনয় করছেন ঐশানী। বাস্তবেও তিনি এখনো ছোটটিই আছেন। বর্তমানে একজন স্কুল পড়ুয়া ঐশানী। কামালগাছির বিডি মেমোরিয়াল স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিনি। পরের বছরেই বোর্ডের পরীক্ষা। তার মধ্যেও মেগা সিরিয়ালের শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঐশানীর কথায়, অভিনয় এবং পড়াশোনা কোনোটিই তিনি ছাড়তে রাজি নন। বিশেষ করে পড়াশোনা নিয়ে খুবই সিরিয়াস তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ঐশানী জানান, কিছুদিন আগে তাঁর পরীক্ষা চলছিল। অন্যদিকে রাতে শুটিং। বাড়ি ফিরেই পড়তে বসে যেতেন। রাতে আর ঘুমাতেন না। তারপর সকালে উঠে পরীক্ষা দিতে যাওয়া। তবে ঐশানী জানান, শুটের জায়গায় সকলেই খুব সাহায্য করেন। তিনি শুটেও বই নিয়ে যান।
সিনেমা দেখে শিখছেন বাঙাল
দুই বাংলা মিলিয়ে গল্প পুবের ময়না। বাংলাদেশের মেয়ে ময়না। তার কথাবার্তায় বাঙাল টান। এই ‘অ্যাকসেন্ট’টা করতে সমস্যা হয় না? ঐশানী বলেন, ওই অ্যাকসেন্টের জন্যই সমস্যা হচ্ছে তাঁর। তবে সেটে সকলেই খুব হেল্পফুল। পর্দার ময়না জানান, নায়ক গৌরব নিজে বরিশালের মানুষ। তিনিও সংলাপ বলার সময় সাহায্য করেন ঐশানীকে। পাশাপাশি ওপার বাংলার কিছু সিনেমা দেখে দেখেও ভাষাটা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। সেটে সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।
কীভাবে আসা অভিনয়ে
ঐশানী জানান, গানের সূত্রে তাঁর থিয়েটারের সঙ্গে যোগাযোগ। তখন তিনি ক্লাস ফাইভে পড়েন। ঐশানী জানান, এর আগে চার বছর আগে সিরিয়াল করেছেন তিনি। নটী বিনোদিনীর পর সিংহলগ্না সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও বড়পর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন মুখোশ, ট্যাংরা ব্লুজ, হৃদপিণ্ড, ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের মতো ছবিতে। আসন্ন পদাতিক ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে।