Mid Day Meal: প্রধান শিক্ষককে দিতে হবে মিড ডে মিলের খরচ? কি জানানো হচ্ছে বিডিওর তরফ থেকে!
বাংলায় মিড ডে মিল নিয়ে সবসময় যেন সমস্যা লেগেই থাকে, কখনো মিড ডে মিল এর মধ্যে জ্যান্ত বা মরা টিকটিকি কখনো আবার আরশোলা এই নিয়ে সবসময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। এরপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে চলেছে গোটা বাংলা। তার মাঝে মিড ডে মিল নিয়ে আবারও একটা নতুন খবর শোনা গেল প্রশাসনের বুকে। প্রশাসনের ক্ষোভের শিকার বহু বিদ্যালয়কে যার জন্য বলা হয়েছে যে বহু শিক্ষকের পকেট থেকে এবার টাকা খসতে চলেছে, আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কি হয়েছে পুরো বিষয়টা কি? তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই প্রতিবেদনের ওপর চোখ রাখতে হবে।
প্রশাসনের কোপের মুখে বিদ্যালয় –
স্কুল বন্ধ হয়েছিল তার জন্য মিড ডে মিলের রিপোর্ট পাঠাতে অনেক বেশি দেরি হয়েছে। আর সেইটাই একেবারে কাল হয়ে গেল, কারণ মিড ডে মিলের হিসেব সময়মতো না পাওয়ার জন্য অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ভিডিওর কাছে কোপের মুখে পড়তে হয়। ভিডিও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রধান শিক্ষকদের এবার নিজেদের বেতন থেকে মিড ডে মিল চালাতে হবে। শুনে আপনিও হয়ত অবাক হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এমনটাই সত্যি। এখানকার প্রায় কুড়িটি বিদ্যালয় কে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং চিঠি পাঠিয়েছেন এখানকার ভিডিও তাপস পাল।
কী ঘটেছে জেনে নিন
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর জন্য সমস্ত সরকারি স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি থাকায় মিড ডে মিলের রিপোর্ট পাঠানোর সম্ভব হয়নি, তারপরে স্কুলগুলিতে সব শিক্ষককে ভিডিও তাপস পাল কোপের মুখে পড়তে হয়েছে। ৯ আগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই তারিখ পেরিয়ে যাওয়াই রীতিমতো কাল হয়ে গেল।
গত শনিবার বিডিওর তরফ থেকে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তাতে বলা হয় যে মিড ডে মিলের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে, তা একেবারেই দেওয়ার সম্ভব নয়। ভিডিও তাপস পাল বলেছেন যে, প্রতি মাসে ১ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে ব্লক মিড ডে মিল সেকশনের রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলগুলিকে বরাবর এমনটা বলার পরেও ২০ টি বিদ্যালয় ৯ তারিখ পার হয়ে গেলেও রিপোর্ট একেবারেই জমা করছে না। যার ফলে গোটা ব্লকের মধ্যে মিড ডে মিল একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিওর তরফ থেকে। তবে আবার অনেকেই বলছেন, বিডিওর এমন কাজ করার মোটেই ক্ষমতা নেই, হেড স্যারেরা যদি কোর্টে যান, তাহলে বিডিও ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবেন।