আমূল বদলে যাচ্ছে মিড ডে মিল প্রকল্প, পড়ুয়াদের পাতে পড়বে দারুণ স্বাদের পুষ্টিকর খাবার
প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে সুষম পুষ্টিযুক্ত আহার পায় এবং মাঝপথে পড়াশোনা না ছেড়ে দেয় তার জন্য সরকারি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প চালু হয়েছিল। বহু বছর আগেই সরকারি স্কুলগুলিতে এই মিড ডে মিল প্রকল্প চালু হয়েছিল, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্প নামে পরিচিত। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ অনুযায়ী, মিড ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়াদের বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার সহ মরশুমি ফল এবং বিশুদ্ধ জল দেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা রয়েছে।
মূলত পড়ুয়াদের পুষ্টি পূরণ করা এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্য থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তবে মিড ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগ শোনা যায়। খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন ওঠার পর এবার মিড ডে মিলে দুর্নীতি রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
মিড ডে মিল ব্যবস্থায় এসেছে বড় বদল। একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেখানে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তিথি ভোজন চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই তিথি ভোজনের আওতায় বিভিন্ন বিশেষ এবং পুণ্য তিথির দিনগুলিত সুস্বাদু এবং ভিন্ন ধরণের খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত মিড ডে মিলের খাবারে পড়ুয়াদের একঘেয়েমি দূর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে মাথা পিছু বরাদ্দ অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বাজেট নেই। তাই এমন পরিস্থিতিতে তিথি ভোজনের আয়োজন করার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপরে চাপ বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থসংস্থানের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি ঠিকই, তবে এই উদ্যোগ পুষ্টি ও খাবারের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।