Pushpita Mukherjee: ‘আর পারছিলাম না’, ছেলের সর্বনাশা নেশা কাটাতে না পেরে চরম পদক্ষেপ পুষ্পিতার

বাংলা ছোটপর্দার অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় (Pushpita Mukherjee)। বহু বাংলা ধারাবাহিকেই তাঁর অভিনয় মন জয় করেছে দর্শকদের। কাজ করেছেন বড়পর্দাতেও। সিনেমা সিরিয়াল দু জায়গাতেই নিজের অভিনয় প্রতিভা প্রকাশ করেছেন পুষ্পিতা। তবে এক সময় কেরিয়ারটাই শেষ হতে বসেছিল তাঁর। ছেলের চিন্তায় অভিনয় ভুলতে বসেছিলেন পুষ্পিতা। ছেলেকে সঠিক পথে আনতে কম কষ্ট করেননি। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। তাই বাধ্য হয়ে এবার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন পুষ্পিতা।

ছেলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে পুষ্পিতার

ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই পুষ্পিতার। মোবাইলে আসক্ত অভিনেত্রীর ছেলে। সারাক্ষণ মোবাইলে গেম নিয়েই ব্যস্ত থাকে সে। এই মোবাইল গেমিং এর নেশায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পড়াশোনার দিকেও। অনেক চেষ্টা করেছেন পুষ্পিতা ছেলেকে সর্বনাশা নেশা থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু কোনো ভাবেই দূর করা যায়নি মোবাইল গেমের আসক্তি। শেষে তাই বাধ্য হয়েই চরম সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন তিনি।

বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিনেত্রী

ছেলেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন পুষ্পিতা। সেখানে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে সে। এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে অভিনেত্রীর ছেলে। তার সঙ্গে আলোচনা করে তারপরেই তাকে দিল্লিতে বোর্ডিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুষ্পিতা এবং তাঁর স্বামী। অভিনেত্রীর স্বামীও কর্মসূত্রে থাকেন দিল্লিতে। তবে ছেলে তাঁর কাছে নয়, থাকবে বোর্ডিংয়ে। এ বিষয়ে পুষ্পিতা বলেন, প্রচুর সাফার করেছেন তিনি। আর পারছিলেন না। তাই বাধ্য হয়েই ছেলেকে দিল্লি পাঠিয়েছেন তিনি, হস্টেলে থেকে যদি এই আসক্তি কাটে সেই আশায়।

দিদি নাম্বার ওয়ানেও কেঁদেছিলেন পুষ্পিতা

এই প্রথম ছেলেকে ছেড়ে থাকতে হচ্ছে। মায়ের মন মানছে না। মাসের দ্বিতীয় শনিবার স্টুডিও পাড়া বন্ধ থাকায় কিছুদিনের ছুটি নিয়ে ছেলের কাছে দিল্লি গিয়েছেন পুষ্পিতা। এর আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে পুষ্পিতা বলেছিলেন, নিজের ছেলেকে যথাযথ মানুষ করতে পারেননি তিনি। সারাক্ষণ ফোনের নেশায় ডুবে থাকে ছেলে। একটা কথাও শোনে না। পড়াশোনায় কার্যত শূন্য। অসহায় পুষ্পিতা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ওরা তো জেনে বুঝে নিজেদের ক্ষতি করে না। নতুন কিছু পেয়ে ভেসে যায়। নিজের সমস্ত সময় টুকু তিনি সন্তানকে দিয়েছেন। তবুও কোনো লাভ হয়নি।