বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি (porimoni)-র ঘটনায় যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে। কিছুদিন আগে পরীমণি তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরীমণির সেই পোস্ট ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (sheikh haseena)-র উদ্দেশ্যে। তাঁর কাছে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছিলেন পরীমণি। পরীমণির পক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়া এহসান (jaya ahsan)। কিন্তু এই ঘটনার ফলেই পরীমণির বিলাসবহুল জীবনযাত্রা সকলের নজরে আসে। এই বিলাসবহুল জীবনযাত্রার অনুপাতে পরীমণির আয় এমন কিছুই নয়। বাংলাদেশ পুলিশ পরীমণি সম্পর্কে তদন্ত করে জানতে পারে তাঁর বেপরোয়া জীবনযাত্রার কথা। এরপরেই বাংলাদেশ পুলিশের হাতে পরীমণির বাড়িতে মাদক রাখার তথ্য উঠে আসে। ফলে 4 ঠা অগস্ট বিকাল সাড়ে তিনটের সময় পরীমণির বনানীর বাড়ির বাইরে এসে পৌঁছান র্যাব বা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-এর একটি দল।
পরীমণি তৎক্ষণাৎ ফেসবুকে লাইভে এসে জানান, বিভিন্ন পোশাকে কিছু লোক এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যেতে চাইছে। ফেসবুকের মাধ্যমেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেন পরীমণি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, পরীমণির বাড়ির বাইরে র্যাবের অফিসাররা উপস্থিত হয়েছেন এবং তাঁদের কাছে অভিযান চালানোর জন্য সর্বপ্রকার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পরীমণি ফেসবুকে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে নিজের অসহায়তা বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। এরপর র্যাবের অফিসারদের একপ্রকার বাধ্য হয়েই দরজা খোলেন পরীমণি। পরীমণির লাইভ দেখে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছান তাঁর সাংবাদিক বন্ধুরা। তদন্তের স্বার্থে এরপর পরীমণিকে লাইভ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় র্যাবের অফিসারদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
4 ঠা অগস্ট সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পরীমণিকে প্রথমে তাঁর বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল কে.এম. আজাদ জানিয়েছেন, পরীমণির বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর বিদেশী মদ। র্যাবের আইন ও মিডিয়া উইং ডিরেক্টর খোন্দকার আল মইন (khondakar al moin) জানিয়েছেন, পরীমণিকে গ্রেফতার করে র্যাবের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ঢাকার দুই মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা (Faria mahbub piasa) এবং মৌ আখতার (mou akhtar)-কে মাদক দ্রব্য সমেত গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এরপরেই পরীমণির ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসে।