কথায় আছে, পৃথিবীতে বাবা হলেন বটবৃক্ষের মতো; আমাদের ঢেকে রাখে শীতল ছায়ার বন্ধনে। সকলের কাছেই বাবার স্থান হয় অন্যরকম। আর যদি মেয়ে ও বাবার সম্পর্কের কথা ওঠে, তাহলে হল হয় যে এই সম্পর্কের টান সবথেকে বেশি হয়। আর এবার বাবার কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee)। চোখ থেকে ঝরঝর করে নেমে এল জলের ধারা। অকপটে রচনা স্বীকার করলেন ঝুমঝুম থেকে রচনা হয়ে ওঠার মাঝে তার বাবা রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির অবদান।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি তার প্রয়াত বাবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুরুতেই বলেন, “বাবার কথা চিন্তা করলেই চোখ দিয়ে জল এসে যায়।” রচনা স্বীকার করেন যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে হওয়ার সুবাদে তিনি খুবই আদরের ছিলেন। তিনি এও বলেন যে মা একটু বকাঝকা করলেও তার বাবা কোনোদিনই তাকে বকাঝকা করতেন না, আগলে রাখতেন সবসময়ই। রচনা আরো বলেন যে, তার এই সাফল্য ও দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তার বাবার অবদান অবর্ণনীয়। তিনি বলেন, “বাবার থেকে প্রচুর গাইডেন্স পেয়েছি। জীবনে চলার পথে যেটুকু পেয়েছি, এই সবটাই আমার বাবার দান”।
এরপরেই চোখ ভিজে আসে রচনার, গলা ভারী হয়ে আসে কান্নায়। আর ভেজা গলায় রচনা বলেন, “যারা এখনো বাবার সান্নিধ্যে আছেন, যাদের জীবনে এখনো বাবা আছেন, তারা সত্যিই খুব লাকি”। আর এটা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রচনা। সবশেষে এই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “বাবার হাত ধরে চলা, বাবাকে সাথে পাওয়া যেত জীবনে একটা অনেক বড় আশীর্বাদ”। এরপর আর কিছুই বলতে পারেননি রচনা।
প্রসঙ্গত, বাংলা সিনে দুনিয়ায় বাবা ও সন্তানের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি- ‘প্রজাপতি’। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা, স্নেহ, দায়বদ্ধতা- এই সবটুকু দিয়েই তৈরি হয়েছে ছবিটি। আর এই ছবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই নিজের বাবাকে মনে করেছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি।
View this post on Instagram