‘পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম’, পিতৃদিবস প্রতি বছর গুটি গুটি পায়ে কখন চলে আসে! সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যায় পিতৃদিবস সংক্রান্ত বার্তায়। কখনও মায়ের অবর্তমানে বাবাই একসাথে মা ও বাবার দায়িত্ব পালন করেন। কখনও কোনো সিঙ্গল ফাদারের সন্তান হয় চারপেয়ে। সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক অভিনব পিতৃত্ব। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) দুই বছর আগে হারিয়েছেন তাঁর বাবাকে। 2021 সালে চুরাশি বছর বয়সে প্রয়াত হন রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (Rabindranath Bhattacharya)। বাবাকে হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন রচনা। বাবার পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে রবীন্দ্রনাথবাবুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর আবারও ‘দিদি নং ওয়ান’-এ সঞ্চালকের ভূমিকায় ফিরেছিলেন রচনা।
তবে এরপর ‘আয় খুকু আয়’ ফিল্মের প্রচারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) এসেছিলেন ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে। শোয়ের এই বিশেষ পর্বে বাবার কথা মনে করে কেঁদে ফেলেছিলেন রচনা। সামলেছিলেন প্রসেনজিৎ। চলতি বছরের পিতৃদিবসে বাবার সাথে একটি পুরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রচনা। ছবিতে রবীন্দ্রনাথবাবু বসে রয়েছেন মেয়ের পাশে। তাঁর পরনে রয়েছে ব্রাউন রঙের পাঞ্জাবি, চোখে চশমা। রচনা পরেছেন ফুশিয়া পিঙ্ক রঙের শাড়ি ও পার্পল রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ। বাবার সাথে যথেষ্ট খুশি ছিলেন তিনি। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, বাবাকে হারিয়ে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদকে হারিয়ে ফেলেছেন রচনা। কিন্তু তাঁর হৃদয়ে তাঁর বাবার অস্তিত্ব সবসময়ই থাকবে। ক্যাপশনের শেষে বাবাকে পিতৃদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রচনা।
রচনার কেরিয়ারকে সবসময়ই সমর্থন জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। একসময় শুটিংয়ে মেয়েকে নিয়ে যেতেন তিনি। এমনকি মেয়ের জন্য পৈতৃক ভিটে ছেড়ে কলকাতায় এসে থাকতে শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। রচনার জীবনের চড়াই-উতরাই-এ তিনি পাশে পেয়েছেন বাবাকে। ফলে বাবার প্রয়াণ তাঁর জীবনে তৈরি করেছে শূন্যস্থান।
শোনা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই রচনা শুরু করতে চলেছেন নিজস্ব স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড। এছাড়াও ‘রচনা’স ক্রিয়েশনস’ নামে একটি ক্লোদিং ব্র্যান্ড রয়েছে তাঁর।
View this post on Instagram