whatsapp channel

Tina Ambani: আম্বানী পরিবারের এই পুত্রবধূ ছিলেন একাধিক পুরুষের সঙ্গিনী, বিয়ে করেছিলেন টাকার লোভে

ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী পরিবারের নামের তালিকায় রয়েছে আম্বানী পরিবার। কিন্তু এই ধনী পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র অনিল আম্বানী (Anil Ambani) কিন্তু তাঁর জীবনে অসফল। বর্তমানে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নেই…

Avatar

ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী পরিবারের নামের তালিকায় রয়েছে আম্বানী পরিবার। কিন্তু এই ধনী পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র অনিল আম্বানী (Anil Ambani) কিন্তু তাঁর জীবনে অসফল। বর্তমানে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নেই অর্থ। মুকেশ আম্বানী (Mukesh Ambani)-র সহায়তায় তাঁর সংসার চলে। তাঁর স্ত্রী টিনা আম্বানী (Tina Ambani)-র ঠাট-বাটও প্রায় অস্তমিত। কিন্তু একসময় টিনা অনিলের অর্থ দেখেই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন।

টিনা উচ্চাভিলাষী হলেও বলিউডে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার তুলনায় তাঁর মন ছিল প্রেমের দিকে। একসময় রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)-র সাথে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সময় রাজেশ ছিলেন অবিবাহিত। টিনাকে অধিকাংশ সময় রাজেশের বাংলোতে সময় কাটাতে দেখা যেত। এই সময় এক মহিলা সাংবাদিক বহুদিন ধরেই রাজেশের সাক্ষাৎকারের জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করছিলেন। এই সাক্ষাৎকারটি পত্রিকায় ছাপলে ওই সাংবাদিকের প্রোমোশন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর প্রোমোশন প্রয়োজন ছিল। অবশেষে রাজেশ তাঁকে সাক্ষাৎকারের জন্য দিন-ক্ষণ জানালেন। সেই দিন নির্দিষ্ট সময়ে ওই মহিলা রাজেশের বাংলোয় পৌঁছে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করলেও রাজেশ দোতলা থেকে নিচে নামেননি।

একসময় রাজেশের কাজের লোক এসে জানান, রাজেশ ওই সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেবেন না। কার্যতঃ অবাক হয়ে যান ওই সাংবাদিক। তিনি উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন রাজেশ ও টিনা। তাঁদের সামনে কেঁদে ফেলেন ওই সাংবাদিক। তিনি যখন কাঁদছিলেন, একজন মহিলা হয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে টিনা বিদ্রুপাত্মক হাসি হেসেছিলেন। ওই মহিলার সাক্ষাৎকারের তুলনায় টিনার শরীরী আকর্ষণ রাজেশের কাছে ছিল বেশি প্রয়োজনীয়। তবে রাজেশ ও টিনার সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ টিনা ক্রমশ ঝুঁকছিলেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)-এর দিকে।

সঞ্জয় তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নিউকামার। সঞ্জয়ের সাথে শুরু হয় টিনার প্রেম। সেই প্রেমকে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন সঞ্জয়। তিনি টিনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই টিনা ব্রেক-আপ করে দেন সঞ্জয়ের সাথে ও বিয়ে করেন অনিল আম্বানী। অনিল সেই সময় মহিলাদের হার্টথ্রব। মুম্বই ও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল এলাকায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির বিদ্যুতের ব্যবসার অন্যতম কারিগর অনিল ততদিনে সামলেছেন ‘অনলি বিমল’-এর ফ্যাব্রিকের বিজনেসও। চিরকালের সাধারণ ছেলে মুকেশ বাড়ির বড় ছেলে হয়েও পাত্তা পেতেন না পরিবারে। টিনার ধারণা ছিল অনিলই হবেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পরবর্তী মালিক। অনিলের ব্যাঙ্ক কারেন্সি ও গাড়ির কালেকশন ছিল দেখার মতো। ঈর্ষণীয় ছিল তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট। টিনা ভেবেছিলেন, তিনি হয়ে গেলেন রাজরানী। বিয়ের পর প্রত্যেক ঘটনায় বাড়ির বড় বৌ নীতা আম্বানী (Nita Ambani)-কে বিদ্রুপ করতেন টিনা। কারণ টিনা তারকা হলেও নীতা ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে। বিধাতা হয়তো সেদিন অলক্ষ্যে হেসেছিলেন।

দাবার ছকটা উল্টে গেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর বর্তমান কর্ণধার সেদিনের সেই মুখচোরা ছেলে মুকেশ। তাঁর স্ত্রী নীতা বর্তমানে আভিজাত্যের প্রতীক। অনিল বর্তমানে রিলায়েন্সের কিছু দায়িত্ব সামলান। তবে টিনার গৌরব অস্তমিত হয়ে গেছে। তারকা নন, আজ তিনি অত্যন্ত সাধারণ গৃহবধূ যাঁকে একটি শাড়ি কিনতে গেলেও হাত পাততে হয় নীতার কাছে।

whatsapp logo