বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কালজয়ী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। একটা সময় তার জীবন্ত অভিনয় ও মধুর হাসি দেখেই মুগ্ধ হয়ে যেত প্রেক্ষাগৃহের সাক্ষী থাকা দর্শকরা। প্রায় এক দশক ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। যীশু সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি নামজাদা অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দর্শকদের অনেক ‘হিট’ ছবি উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার রেশ এখনো কাটেনি। এখনো একইভাবে জনপ্রিয় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ বড় পর্দা ছেড়ে তিনি এখন ছোট পর্দার জনপ্রিয় ‘দিদি’।
দীর্ঘ সময়কাল ধরে জি-বাংলার রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং-১’-এর সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলে এসেছেন অভিনেত্রী। এখনো ‘দিদি নং-১’-এর কথা উঠলেই অনেকের চোখের সামনেই রচনার হাসিমাখা মুখ ভেসে ওঠে। তবে সঞ্চালনার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় এই অভিনেত্রী। আর সেখানে বাস্তবিক জীবনের নানা মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। সম্প্রতি এমনই এক ক্যামেরাবন্দি মুহূর্তকে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অভিনেত্রী। কখনো মরুদেশ, কখনো ইউরোপ, কখনো আবার মলদ্বীপ। তবে এবার ধর্ম ও কর্মে মন দিলেন অভিনেত্রী। নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই হরিদ্বার পৌঁছে গেলেন অভিনেত্রী। আর সেখানে গঙ্গার মহা-আরতি দেখলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি আপলোড করেছেন অভিনেত্রী। সেখানে কখনো সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে দেখা গেল অভিনেত্রীকে, আবার কখনো দিনের আলোয় ঘুরে দেখলেন প্রতিটি মন্দির। অভিনেত্রীর পরণে ছিল সাদামাটা পোশাক। মুখে মেকআপের তেমন বাহার নেই। অর্থাৎ সেখানে যে তিনি শুধুই এক সাধারণ মানুষ হকয়ে গেছিলেন, সেকথা স্পষ্ট হয়েছে ছবি দেখেই।
তবে একা নন, অভিনেত্রী সেখানে গেছেন তত দুই কাছের বান্ধবের সঙ্গে। এক শিখ দম্পতি এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন রচনার। তাদেরকে ছবিতে দেখা গেছে। আবার ক্যাপশনেও তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘গঙ্গা আরতি হল একটি ধর্মীয় আচার এবং প্রার্থনা, যা পবিত্র গঙ্গার পাশে হর কি পাউরি ঘাটে হয়ে থাকে। এটি হল ও ও শব্দের একটি মহতী রীতি। তোমাদের দুজনকেও অনেক ধন্যবাদ, তোমরা ছাড়া এটা সম্ভব হত না’। আর তার এই পোস্ট দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন তার অনুরাগীরা।
View this post on Instagram