Rachana Banerjee: ভরা মঞ্চে বেসুরো গান! ট্রোলের মুখে রচনা ব্যানার্জী
ট্রোলিং এমনই একটা শব্দ যার সঙ্গে সাধারণ মানুষ যেমন পরিচিত, তার থেকে বেশি পরিচিত সেলিব্রিটিরা। বলিউড হোক বা টলিউড কিংবা ধারাবাহিকের অভিনেত্রীরা, কেউ না কেউ , কখনো না কখনো ট্রোলিং এর শিকার হবেনই হবেন, তারপর সেই নিয়ে কিছুদিন চলে কাটাছেঁড়া, পরবর্তীতে ফের সেইসব শিল্পীদের করা গান, নাচ, অভিনয় দেখে শান্ত হোন দর্শকরা। তাই একবার চলে ট্রোলিং তো আরেকবার শুরু হয় প্রশংসা।এবারে, ট্রোলিং লিস্টে নাম এসেছে দিদি নং ওয়ান রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দোপাধ্যায়ের। কেন? চলুন জানি।
রচনা একজন পাকা অভিনেত্রী। ১৯৯৩ সালে দান প্রতিদান দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন। এরপর উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন তিনি। ফের বাংলা ছবিতে আসর জমান। বর্তমানে, অবশ্য অভিনয় ছেড়ে শুধু মাত্র দিদি নং ওয়ান রিয়্যালিটি শো নিয়েই ব্যস্ত আছেন, পাশাপাশি চলছে তার অনলাইন শাড়ির ব্যবসা। এহেন, রচনা মাঝেমধ্যে স্টেজ শো করতে যান।যেহেতু তিনি গোটা বাংলার প্রিয় সঞ্চালিকা দিদি, তাই তার ডাক হামেশাই আসে বিভিন্ন জায়গা থেকে। সেরকমই, কোনো এক জায়গা থেকে স্টেজ শো করার আমন্ত্রণ পান রচনা। তিনি যান, এবং সেখানেই গিয়েই সমালোচনার শিকার হন। কিভাবে?
স্টেজ শো মানেই গানের আবদার আসে দর্শক মহল থেকে। অভিনেত্রীটি গান গাইতে পারেন কি পারেন না সেসব পরের কথা, আগে গাইতে হবে। সেরকমই লাইভ গানের আবদারে মাইক্রোফোন হাতে গান গেয়ে ওঠেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। গানটি ছিল তাঁরই অভিনীত ‘সূর্য্যবংশম’ ছবির একটি গান। মুহূর্তে ভাইরাল হয় রচনার গলায় গাওয়া গানটি, এরপরেই ট্রোলিং এর শিকার হন তিনি। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘আমি পাগল হয়ে গেছি, এই গান শোনার আগে আমি মরে কেন গেলাম না’! ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ, কিছু মাস আগেই রচনা গিয়েছিলেন সারেগামাপা মঞ্চে। সঞ্চালক আবিরের আবদারে রচনা গান ‘তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিল’। সেদিন রচনার সঙ্গে গলা মেলান সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়। ওইদিন, রচনার গানে মুগ্ধ হন অনেকে, এমনকি অভিনেত্রী তথা সঞ্চালিকার গলায় গান শুনে অনেকেই প্রশংসা ছুঁড়ে দেন। সুতরাং, কখনো টক কখনো মিষ্টি লেগেই থেকে শিল্পীদের জীবনে।