বৃহস্পতিবার সকালে টলিউডের ঘুমটা ভেঙেছিল এক আকস্মিক দুঃসংবাদে, “মিঠুদা নেই”। অভিষেক চ্যাটার্জি (Abhishek Chatterjee) ওরফে মিঠুদা আর কোনোদিন ফিরবেন না। ভাবতে পারছিলেন না রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee)। প্রথমে মনে হয়েছিল গুজব। কিন্তু বেলা বাড়তেই জানতে পারলেন, সত্যিই তাঁর দাদা আর নেই। রক্তের সম্পর্ক সব নয় তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন রচনা ও অভিষেক। অভিষেক ছিলেন রচনার নিজের দাদার মতো।
দুঃসংবাদ পেয়েই শেষবারের মতো দাদাকে চোখের দেখা দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন রচনা। একনাগাড়ে কেঁদেছেন অভিষেকের পাশে বসে। মিডিয়া ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। উত্তর দেওয়ার পরিস্থিতিতে ছিলেন না রচনা। বারবার মনে পড়ছে বহু স্মৃতি। আশি ও নব্বইয়ের দশকের তারকাদের একটি গ্রুপ যাতে ছিলেন প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee), তাপস পাল (Tapas Pal), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), চিরঞ্জিৎ ( Chiranjeet) , অভিষেক চ্যাটার্জী, রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee), ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder)-রা। চলে গিয়েছেন তাপস পাল। চলে গেলেন অভিষেক। বারবার সকলের মনে হয়েছে, তাহলে কি ভাঙন ধরল!
বৃহস্পতিবারের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই অভিষেক। রচনা ছিলেন নিশ্চুপ। শুক্রবার নীরবতা ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিষেকের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। তার সাথে ক্যাপশনে এক বোনের আর্তি “কোথায় তুমি চলে গেলে, এখনও অনেক কথা বাকি রয়ে গেল যে দাদা!” ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সূত্রে আলাপ পরিণত হয়েছিল আত্মীয়তায়।
বৃহস্পতিবার অভিষেকের নিথর দেহের সামনে বসে কেঁদে চলেছিল রচনা। তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করছিলেন ইন্দ্রাণী ও জয়জিৎ (Joyjeet)। কিন্তু কে কাকে সামলাবেন? সকলের চোখেই যে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। সামনে বসে অভিষেকের স্ত্রী। তাঁকে দেখে রচনা সামলাতে পারছিলেন না নিজেকে। ইন্ডাস্ট্রির উপর অনেক অভিমান ছিল অভিষেকের। কিন্তু জানতেন না, কখনও কখনও ইন্ডাস্ট্রি মানে অভিষেক চ্যাটার্জীও।