করোনা আবহে সাধারণ মানুষের সাথে সাথে সেলিব্রিটিরাও যে অন্নাভাবের কবলে পড়েছিলেন তা কম বেশি সব মানুষই বোঝেন বা জানেন। দুর্ভাগ্যবশত একটি সাক্ষাৎকারে রূপঙ্কর বাগচী অনবরত অভাব অনটনের ফলে তারকাদের আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার কথা তুলেছিলেন। বেশ বিরক্তিসূচক লেগেছিল তাঁর এই মন্তব্য। বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
অতিমারী তখন চরমে। চিন্তাগ্রস্থ সরকার ঘোষণা করলেন মঞ্চে কোনোরকম অনুষ্ঠান হবেনা। অডিটোরিয়ামের দরজা বন্ধ থাকবে। মাথায় বাজ পরে যায় গায়ক-গায়িকাদের। ইমন চক্রবর্তী , রুপম ইসলাম সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে ‘রা’ টি না কাটলেও রূপঙ্কর মুখ খোলেন, ‘পরপর শো গুলো বাতিল হলে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে। নাহলে খাব কি! তারপর নতুন পেশা মানানসই না হলে আত্মহত্যাই শ্রেয়’। স্বাভাবিকই শিল্পী মানুষ তো শিল্পের বাইরে কিছু চেনেনিই না।
‘গায়ক হয়ে অভিনয় জগতেও রয়েছেন। বেশ তো উপার্জন করছেন। তাও আবার আত্মহনন কিসের!’ – এমন সব মন্তব্য শুনতে হয় রূপঙ্করকে। তাঁর বিরোধিতা শুরু করেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সহ তারকা এবং সাধারণ মানুষ তো বটেই। রীতিমত চক্রবূহে আটকে পড়েন তিনি। বিপদে এবার পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা রাহুল। তাঁর মতে যেকোনো কেউই মাল্টিটাস্কিং করতে পারেন। এতো বৈপরীত্য কিসের। যাঁরা শিল্পীর আত্মহত্যার কথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি একটাই কথা বললেন, ‘রূপঙ্করদা নিশ্চয়ই এমন শিল্পীদের তুলে ধরেছেন, যাঁদের কাছে একাধিক কাজ নেই। লকডাউন কি অবস্থা তাঁদের কেউ কি একবারও ভেবেছেন?’
মঙ্গলবার মধ্যরাত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘এই যে সবাই রূপঙ্করের অভিনয়ে উপার্জিত টাকা নিয়ে এত কথা বলছেন, তাহলে তো অনির্বাণও আর গান গাইতে পারবেন না। অভিনেতার আবার গানের নির্দেশনা কিসের, তাই না?’
আবার কি কোনো বিতর্কের সূত্রপাত?
উত্তরে রাহুল জানালেন তাঁর রূপঙ্করের সাথে হওয়া ব্যবহারটি একদমই ভালো লাগেনি। তাই এমত প্রতিবাদ হাঁকিয়েছেন তিনি। রাত্রে সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেই তাঁর এহেন প্রতিবাদী উদ্যোগ। শিল্পী হয়ে শিল্পীর পাশে থেকেছেন মাত্র। বিতর্ক তাঁর অধ্যায় নয়।