Hoop PlusTollywood

Dev: ‘ব্যোমকেশ’ দেবকে কটাক্ষ রাহুলের, চুলোচুলি থামাতে এগিয়ে এলেন কে!

দেব (Dev) ক্রমশ নিজেকে ভেঙে নতুন রূপে গড়ছেন। পিরিয়ড পিস অথবা নতুন ধরনের চরিত্রকে নিজের প্রযোজনায় নিজেই সহায়ক বানিয়ে তুলছেন তিনি। একসময় দেবকে কমার্শিয়াল নায়ক ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেনি টলিউড। কিন্তু নিজের প্রযোজনায় তৈরি ফিল্ম ‘গোলন্দাজ’-এ নগেন্দ্রনাথ সর্বাধিকারীর মতো ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করে দেব চিনিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। চলতি বছর পুজোর সময় আসতে চলেছে ‘বাঘা যতীন’। এই ভূমিকায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে দেবের লুক। তবে গত 28 শে জানুয়ারি ‘ব্যোমকেশ বক্সী’-র ভূমিকায় নিজের নাম ঘোষণা করে আলোড়ন তুলেছিলেন দেব যাতে মোটেও খুশি নন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunodoy Banerjee)।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Dev Adhikari (@imdevadhikari)

সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে দেবকে কটাক্ষ করলেন রাহুল। সোমবার, মাঝরাতে যখন গোটা বাংলা ঘুমন্ত, সেই সময় ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, খুশবন্ত সিং-এর জোক হল দুই পঞ্জাবি দাবি খেলছেন। বাঙালির জোক হল, দেব ব্যোমকেশ। এরপর কি করে চুপ থাকতে পারেন টলিউডের অন্যতম বিতর্কিত প্রযোজক রাণা সরকার (Rana Sarkar)। তিনি রাহুলের নাম না করে পাল্টা পোস্ট করলেন ‘দেব ব্যোমকেশ ও আঁতেল বাঙালির হাহাকার’ নামে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধে রাণার বক্তব্য, ‘চিড়িয়াখানা’-য় মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)-এর ক্যারিশমা ব্যবহার করেছিলেন সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh) যখন সুজয় ঘোষ (Sujoy Ghosh)-কে ব্যোমকেশ বানিয়েছিলেন, তখন বাঙালিরা কোনো সমালোচনা করেননি। এমনকি উল্লিখিত ফিল্মগুলি শিল্প নয় তাও মুখের উপর বলার সৎ সাহস ছিল না কারও।

রাণা স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেবের ব্যোমকেশ ভালো না খারাপ তা দর্শকরা বুঝে নেবেন। ফিল্ম দুনিয়ার আঁতেল বাঙালি যেন চান না নেন। এরপর দেব ও ব্যোমকেশ বক্সীর জয়জয়কার করেছেন রাণা। রাণার কথা যথেষ্ট সমর্থন যোগ্য। কারণ দিনের শেষে দর্শকই কিন্তু ভগবান , তাঁরাই স্টার মেকার।

সাহিত্য অবশ্যই কালজয়ী। সাহিত্যে ফেলুদা, ব্যোমকেশের মতো বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে যখন চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে, বারবার বদলেছে তাঁদের মুখ। সমগ্র পৃথিবী এই পরীক্ষায় লিপ্ত। খুব অদ্ভুত লাগে, যখন আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে লীগ গঠন করে একে অপরের প্রতি কটাক্ষ করা হয়। ‘ব্যোমকেশ’ তৈরি হলে এবং তা সমগ্র ভারত জুড়ে মুক্তি পেলে তা অবশ্যই টলিউডের ফিল্ম অথবা বাংলা ফিল্ম হিসাবে অগ্রগণ্য হবে। ফলে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি না করে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা উচিত। থাকা উচিত সৌজন্য। দেব ইন্ডাস্ট্রিতে সতের বছর পূর্ণ করলেন। প্রযোজক হিসাবে গত কয়েক বছর ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে যথেষ্ট ভালো ব্যবসা দিয়েছেন তিনি। একবার কি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সকলে মিলে এক হয়ে তাঁকে উৎসাহ দিয়ে একটি ভালো ফিল্ম তৈরি করা যায় না?

Related Articles