হাওড়া স্টেশনে চালু হল এলাহী ব্যবস্থা, ট্রেনের কামরায় বসলেই সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করবে রেল
ভারতের বুকে রয়েছে নানা রকমের রেল স্টেশন। লক্ষ লক্ষ রেল স্টেশন রয়েছে এই দেশে। এর মধ্যে বেশ কিছু লোকাল স্টেশন যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু বড় জংশন। পশ্চিমবঙ্গের এমনই একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ জংশন হল হাওড়া। হাওড়া রেল স্টেশনের সঙ্গে যেমন যুক্ত রয়েছে পূর্ব রেল, তেমনই দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগও রয়েছে হাওড়া জংশনের সঙ্গে। অনেক দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে এই স্টেশন থেকে। এছাড়াও অনেক লোকাল ট্রেন ছাড়ে এই স্টেশন থেকে। তাই বাংলার রেল বিভাগের হৃদপিণ্ড বলা যায় হাওড়া স্টেশনকে।
সম্প্রতি, ভারতীয় রেল প্রায় সব স্টেশনকেই ঢেলে সাজাচ্ছে। এর মধ্যে যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, তেমনই যাত্রীদের সুবিধার্থে নানা অত্যাধুনিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে রেল স্টেশনে। আর এবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের জন্য দারুন একটি সুখবর এলো। কারণ এবার হাওড়া স্টেশনে চালু হল একটি দারুন ব্যবস্থা। আর এর ফলে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে যেসব যাত্রী হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসেন, তারা বিরাট সুবিধা পেতে চলেছেন। কি সেই পরিষেবা? দেখুন।
গত ২৫ শে ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনে কোচ রেস্তোরাঁ পরিষেবা চালু হয়ে গেল। অর্থাৎ, সবার ট্রেনের কোচে বসেই সুস্বাদু সব খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে। এক অন্য ধরনের অনুভূতি নিয়ে এখানে ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চ বা ডিনার করতে পারবেন যে কেউ। অল্প খরচে বসে এই ধরণের পরিবেশে খাবার খাওয়ার এক দারুন অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবেন যাত্রীরা। জানা গেছে, হাওড়া স্টেশনের রেল মিউজিয়ামের একটি বাতিল রেল কামরাকে সাজিয়ে এই রেস্তোরাঁ বানানো হয়েছে। বর্তমানে একটি কোম্পানিকে এই রেস্তোরাঁ লিজে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা ঢুকবে রেলের ভাঁড়ারে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই কোচ রেস্তোরাঁ প্রথম চালু হয় আসানসোল স্টেশনে। বাতিল রেল কামরাকে সাজিয়ে রেস্তোরাঁর আকার দেওয়া হয় সেটিকে। তার জনপ্রিয়তা দিনের পর দিন তুঙ্গে পৌঁছে যায়। আর এরপর বঙ্গের বুকে এমনই আরেকটি কোচ রেস্তোরাঁ চালু করা হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখানেও এই রেস্তোরাঁর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়। আর এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল হাওড়া স্টেশনের নাম।