এক দশকেরও অধিক সময় ধরে অভিনয় করলে মনোনিবেশ করেছিলেন সুন্দরী তন্বী স্মিতা পাতিল। তার জন্ম হয়ে পুনেতে। কানহবি মারাঠা পরিবারে মহারাষ্ট্র রাজনীতিবিদ শিবাজী রাও গিরিধর পাতিল ও খান্দেশ প্রদেশের শেরপুর শহরের সমাজকর্মী বিদ্যা তাই পাতিল দম্পতির সন্তান তিনি।
সেই সময়ে তথাকথিত গ্ল্যামারাস নায়িকা যথা রেখা, হেমা মালিনি, মমতাজ এদের মাঝখানে শ্যামলা বর্নের এই সুন্দরী নায়িকা নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন।
শুধু তাই নয়, অভিনয় করতে করতে নিজের কর্ম ক্ষেত্রে মন জয় করে নিয়েছিলেন সুন্দর অভিনেতাদের তালিকায় থাকা রাজ বাব্বর এর। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই রাজ বাব্বর কর্মক্ষেত্রে প্রেমে পড়েছিলেন স্মিতা পাতিলের।
প্রথম স্ত্রীকে এবং তার এক পুত্র, এক কন্যা সন্তানকে ছেড়ে তিনি স্মিতা পাতিলকে বিবাহ করেন। বিবাহের পরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন স্মিতা পাতিল। তবে দুঃখের বিষয় পুত্র প্রতীককে জন্ম দিতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে জন্মদানের দুই সপ্তাহ পর জন্ম সংক্রান্ত জটিলতার জন্য স্মিতা পাতিল এর মৃত্যু হয়।
স্মিতা পাতিলের সন্তান বড় হতে থাকেন তার দিদার কাছে। রাজ বাব্বর অবশেষে তার প্রথম স্ত্রী নাদিরা বাব্বর এর কাছে ফিরে যান। বিবাহিত হয়েও স্মিতা পাতিলের প্রেমে পড়া এবং তারপরই বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া, এই নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ সমালোচিত হয়েছিল তখন রাজ বাব্বর স্মিতা পাতিলের জুটি।
তবে ভালোবাসা যে কোন কিছুই মানে না তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন তারা। সেই সময় তথাকথিত সুন্দরী না হয়েও অসাধারণ চেহারা, অভিনয় এবং নিজস্ব সৌন্দর্যের দক্ষতায় তিনি প্রত্যেকটি পুরুষ মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন একথা বলাই বাহুল্য।