কিছুদিন আগেই বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ব্যারাকপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। তিনি যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তৃণমূলে ভাঙন ধরেছিল। দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু মুকুল রায় (mukul ray) দলে ফেরার পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলের ঘরে ফিরতে চাইছেন। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক হিসাবে রাজও নিজের মতামত দিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, যদি কেউ দলে ফিরতে চান, তাহলে তাঁকে অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত। তার পাশাপাশি রাজ এও জানিয়েছেন, শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
17 ই জুন তৃণমূল ভবনে সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান হিসাবে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (sayantika bandyopadhyay), ব্রাত্য বসু (Bratya basu), ইন্দ্রনীল সেন (Indranil sen)। বৈঠকের পর রাজ বলেন, শিল্পীদের ক্ষেত্রে কোনো সীমানা থাকে না। তবে তৃণমূলে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন রাজ।
তবে বিরোধীদের কটাক্ষ করে রাজ বলেছেন, বাংলা কখনও ভাগ হবে না। বিরোধীরা বাংলা দখল করতে ব্যর্থ হয়ে এখন বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছেন, বললেন রাজ। তবে রাজ দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরানোর কথা বললেও দলের অন্দরে একাধিক নেতা রয়েছেন যাঁরা চান না দল ভেঙে যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার দলে ফিরে আসুন। ফলে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে চারিদিকে।