গত কয়েকদিনে রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi Sawant)-এর জীবন উথাল-পাথাল হয়ে গিয়েছে। তাঁর মা জয়া সাওয়ান্ত (Jaya Sawant)-এর প্রয়াণ ঘটেছে মস্তিষ্কের টিউমার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। মায়ের শেষকৃত্যের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই রাখি তাঁর স্বামী আদিল খান দুরানি (Adil Khan Durrani)-র বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এমনকি আদিল তাঁকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছেন রাখি। তাঁকে ছেড়ে আদিল নিজের প্রাক্তন প্রেমিকা তনু চান্দেল (Tanu Chandel)-এর সাথে লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকতে শুরু করেছিলেন। রাখি পাপারাৎজিদের সামনে জানিয়েছিলেন, আদিল তাঁকে ব্যবহার করেছেন বলিউডে প্রবেশ করার জন্য। উপরন্তু আদিলের বিরুদ্ধে তাঁর মায়ের গয়না ও দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ করেছিলেন রাখি। রয়েছে রাখির অনাবৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সব তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। গত মঙ্গলবার রাখিকে খুনের উদ্দেশ্যে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে এসেছিলেন আদিল। তৎক্ষণাৎ রাখির অভিযোগের ভিত্তিতে আদিলকে গ্রেফতার করে ওশিওয়ারা থানার পুলিশ।
আদিলকে আন্ধেরি আদালতে পেশ করা হলে তাঁর আইনজীবী আদিলের জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের তরফে আদিলের জামিনের আবেদন আগামী মঙ্গলবার অবধি স্থগিত রাখা হয়েছে। বিগ বস মারাঠিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন রাখি। সেখানে তিনি নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছিলেন। তবে বিগ বসের ঘর থেকে বেরোনোর পর রাখি ও আদিল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এগুলি শুধুই গুজব। কিন্তু অন্দরের খবর, রাখি মা হতে চাইলেও আদিল সন্তান চাননি। উপরন্তু অত্যন্ত স্ট্রেসের ফলে রাখির মিসক্যারেজ হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সময় তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রাখি।
এদিন মিডিয়ার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে রাখি জানান, তিনি আদিলের সাথে সংসার করতে চেয়েছিলেন, মা হতে চেয়েছিলেন। এই কারণে রাখি একটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর রাখি বাড়ি ফিরলে আদিল তাঁকে প্রচন্ড মারধোর করেন। এমনকি আঘাত করেন রাখির অস্ত্রোপচারের স্থানে। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় রাখির প্রস্রাব হয়ে গিয়েছিল।
রাখি জানিয়েছেন, তাঁর মা রাখির ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের কারণে দুঃখ পেয়েছিলেন। এরপর আদিল রাখির উপর নির্যাতন শুরু করলে প্রথমে জয়া তাঁকে সহ্য করতে বললেও পরে আদিলকে ডেকে বলেন, রাখিকে কষ্ট না দিতে। সেই সময় আদিল তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইলেও রাখির উপর নির্যাতন থামাননি। এমনকি রাখির মায়ের মৃত্যুর দিনও তাঁকে প্রহার করেছিলেন আদিল। ভোর চারটে নাগাদ রাখির প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার ফলে তাঁকে দ্রুত কুপার হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেখানে রাখির শারীরিক পরীক্ষা হয়। অপরদিকে আদিলকে গ্রেফতার করার পর তাঁরও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
View this post on Instagram