‘হান্ট সিনেমা’ ওটিটির ইউটিউব চ্যানেল লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি কয়েক বছরের পুরানো। করোনাকালে এই ধরনের একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গজিয়ে উঠেছে যাদের কন্টেন্ট শুধুমাত্র নিষিদ্ধ বিনোদনের হাতছানি। নিউ নর্মালেও এই ধরনের ওটিটিগুলি কন্টেন্ট নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা ভাবনা করে না। তারা একের পর এক প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েব সিরিজ স্ট্রিম করে চলেছে। 2022 সালের 16 ই নভেম্বর হান্ট সিনেমার ইউটিউব চ্যানেলে লঞ্চ হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলি’-র অফিশিয়াল ট্রেলার। এখনও অবধি এই ট্রেলারের ভিউ অতিক্রম করেছে আড়াই লক্ষের অনেকটাই বেশি।
ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, খোলামেলা লেহেঙ্গা-চোলি পরা একটি মেয়ে একজন পুরুষকে তিরস্কার করে বলছে, মেয়েটি তাকে রাতে বারবার ডাকলেও সে আসে না। কথোপকথন চলছে একটি দর্জির দোকানে। চারপাশে ঝুলছে বাহারি পোশাক, রাখা রয়েছে সেলাই মেশিন। মেয়েটি তিরস্কার করে চলে যেতে গেলে ওই পুরুষ তার হাত ধরে দাঁড় করায়। এরপর তারা একে অপরকে চুম্বন করে। কিন্তু তারপরেই মেয়েটি দ্রুত ওই দোকান থেকে বেরোতে গিয়ে সম্মুখীন হয় তার বাবার। মেয়েটির বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করে, সে এখানে কি করছে! মেয়েটি বলে, তাদের বাড়ির কল খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই সে ছেলেটিকে ডাকতে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, ওই ছেলেটি নাম গুড্ডু। দর্জির দোকানটি মেয়েটির বাবার। গুড্ডু ওই দোকানে কাজ করে।
মেয়ে বাড়ি চলে যেতে তার বাবা গুড্ডুকে বাড়িতে পাঠায় কল মেরামত করার জন্য। গুড্ডু ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হল। এরপর ফিরে এসে সে মেয়েটির বাবাকে বলে, এতদিন কোথাও সে এত পরিশ্রম করেনি যা ওই ব্যক্তির বাড়িতে করেছে। ওই ব্যক্তি বলে, মেয়েটির মা সুষমা তার গুরুজীর মেয়ে ছিল। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সুষমাকে বিয়ে করেছে ওই ব্যক্তি। এর মধ্যেই গুড্ডুর কাছে আসে মোনা বৌদি। গুড্ডু তার ব্লাউজের মাপ নেয়।
কিন্তু এর মধ্যেই অপর এক দর্জি মোনা ভাবিকে কথা দেয়, সে গুড্ডুর থেকেও ভালো ব্লাউজ তৈরি করে দেবে। তবে মোনা ফিরে যায় গুড্ডুর মালিকের কাছে। সে বলে, গুড্ডুর মালিককে ছাড়া আর কাউকে মাপ দিতে রাজি নয় সে।
