আদিত্য চোপড়া (Aditya Chopra)-র সঙ্গে বিয়ের পরেও, আদিরা (Adira)-র মা হওয়ার পরেও রানি মুখার্জী (Rani Mukherjee ) এখনও বলিউডের সেরা বঙ্গসুন্দরীদের মধ্যে একজন। তাঁর মাধুর্য এতদিনে সংবাদমাধ্যম ও বলিউডের চোখে পড়েছে। কিন্তু যখন তিনি নিউকামার ছিলেন, একটি বিখ্যাত বাংলা সংবাদমাধ্যমে বেরিয়েছিল ‘গুলাম’ ফিল্মে আমির খান (Amir Khan)-এর বিপরীতে রানির সমালোচনা।
সংবাদমাধ্যমটি একটি বিশেষণ ব্যবহার করেছিল রানির বর্ণনায়। বিশেষণটি ছিল ‘আলু সেদ্ধ ভাত’-এর মতো নায়িকা। তাদের মতে, এই নবাগতার ভবিষ্যৎ নাকি অন্ধকার। কিন্তু সেই সংবাদমাধ্যমের তরফে পরবর্তীকালে একাধিক বার রানির ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। তারা রানির আলোকিত স্টারডমের অংশ হতে চেয়েছে। কিন্তু তিনি তো বলিউডের রানি। তিনি সবই জানতেন। সেই সময় তাঁর হেনস্থার কথা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন রানি। তিনি জানিয়েছেন, একসময় লাগাতার বডি শেমিং-এর ফলে তিনি মনে করতে শুরু করেছিলেন তাঁর অভিনয়ে আসা উচিত হয়নি। রানিকে বলা হত বেঁটে, মোটা, কালো। তাঁর গলার স্বর নাকি জঘন্য। কিন্তু এই ভুল ধারণা থেকে রানিকে বের করে এনেছিলেন কমল হাসান (Kamal Hasan)।
‘হে রাম’ ফিল্মে কমলের প্রথম স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রানি। চরিত্রটি বাঙালি ছিল বলে রানিকে এই চরিত্রে সিলেক্ট করা হয়েছিল। সেই সময় আলাপচারিতায় কমল রানিকে বলেন, অভিনেতার অভিনয় ক্ষমতা তাঁর উচ্চতা বা গায়ের রঙে নয়, তাঁর প্রতিভা ও তাঁর কাজে। ‘বান্টি অউর বাবলি 2’ শুটের আগে একটি সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছিলেন রানি। জানিয়েছেন তাঁর হীনমন্যতার কথা। শ্রীদেবী (Sridevi) ও মাধুরী (Madhuri Dixit Nene)-কে দেখার পর তাঁর মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল, তিনি বেঁটে, কালো হওয়ায় তথাকথিত নায়িকা হওয়ার যোগ্য নন।
কিন্তু কমল হাসানের উৎসাহে রানি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। ‘হে রাম’-এ রানির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু টিনএজারদের মনে গেঁথে গিয়েছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এ রানি অভিনীত চরিত্র ‘টিনা’। শুরু হয়েছিল রানির রাজ্য জয়।
View this post on Instagram