ভক্তদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে মুখ ফেরালেন সকলেই, অহংকারী রানু মন্ডল হারিয়ে গেলেন রাতারাতি
বিদ্যুতের মতই হঠাৎ এসেছিলেন। আবার কি হারিয়ে গেলেন সেভাবেই? রানাঘাট স্টেশনের ভবঘুরে দরিদ্র মহিলা রাণুর ঈশ্বরপ্রদত্ত কণ্ঠকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী।
লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়েই সাড়া ফেলেছিলেন রাণু। কন্ঠেও তাঁকে বলা হয়েছিল লতা-কণ্ঠী। নিজের সঙ্গে তাঁকে এলবাম করান স্বয়ং হিমেশ। ‘তেরি মেরি কহানি’ গান হয়েছিল সুপারহিট। এরপর রিয়েলিটি শোতেও গান গেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিশেষ ভালো পরিস্থিতি নেই রানাঘাটের লতাকণ্ঠীর। হাতেও নাকি আর আসছে না কাজ। নতুন কেনা বাড়ি ছেড়ে আবার ফিরে আসতে হয়েছে পুরোনো বাড়িতে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি?
শোনা যাচ্ছে, নিজের অহংকারই আবার তাঁকে পথে নিয়ে আসছে। আসলে আকস্মিক প্রচারের আলোয় আসা ভবঘুরে রাণু মন্ডলের একাধিক বাইটে তাঁর অহংপূর্ণ কথাবার্তা বিরক্ত করেছে ভক্তদের। আচরণ ব্যবহার নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, গতবছর কাতারের একটি শপিং মলে এক বাঙালি ভক্ত রাণুকে পিছন থেকে ডেকে ছবি তুলতে চাইলে প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হয়ে খারাপ ব্যবহার করেন রাণু। সঙ্গে উপস্থিত হিমেশ, ভক্তের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় বিরক্ত হন তিনিও। একটি বেসরকারি চ্যানেলে বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে পারফর্ম করার কথা ছিল রাণুর, যেখানে অথিতি হওয়ার কথা ছিল বিগ বি অমিতাভের। কাতারের ওই ঘটনার পর চ্যানেল অনুষ্ঠানটি থেকে বাদ দেয় রাণু মন্ডলকে।
যে ভক্তদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের জন্য স্টেশনের কোণে কাটানো ভবঘুরে রাণুর এই ভাগ্যবদল, সুখের দিনে সেই ভক্তদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্যই কি মাশুল গুনতে হচ্ছে রানাঘাটের রাণু মন্ডলকে!