আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) বর্তমানে ‘ডার্লিংস’-এর জেরে সুপারহিট। তার উপর প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আলিয়ার সম্পর্কে অত্যন্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে পাপারাৎজিদের কৌতুহল। তবে তা নিজে থেকেই বেড়েছে না বাড়ানো হচ্ছে, এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ আলিয়া বর্তমানে সাক্ষাৎকার দিতেও টাকা নিচ্ছেন। এমনকি তাঁর ছবি তুলতে গেলেও আলিয়াকে টাকা দিতে হচ্ছে। সেই টাকার বেশ কিছুটা অংশ অবশ্য যাচ্ছে আলিয়ার ম্যানেজার ও পিআর টিমের কাছে যাতে তাঁরা বলিউড প্যাপসদের আলিয়ার প্রতি মুহূর্তের খবর দিয়ে তাঁদের অকুস্থলে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারেন। তাঁরা পৌঁছালেই তৈরি হবে আলিয়াকে নিয়ে খবর।
অর্থাৎ এই খবর তৈরির জেরেই নিজের কবর খুঁড়তে ব্যস্ত আলিয়া। তাঁর এই নির্বুদ্ধিতার অন্যতম কারণ হল স্কুলের গন্ডি পার না হওয়া। মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল আলিয়ার। কিন্তু মা সোনি রাজদান (Soni Razdan) ও বাবা মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt) মেয়েকে শিক্ষিত করে তুলতে ছিলেন বদ্ধপরিকর। ফলে আলিয়াকে ভর্তি হতে হয়েছিল মুম্বইয়ের যমুনাবাঈ নরসি স্কুলে। সেখানে আলিয়া পড়াশোনার তুলনায় খেলাধুলাতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। তার উপর পরিবারে সোনির সাথে মহেশের লাগাতার অশান্তি লেগেই থাকত যা পছন্দ ছিল না আলিয়ার।
View this post on Instagram
শৈশবে মহেশের পরিচালনায় নির্মিত কয়েকটি ফিল্মে শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন আলিয়া। কিন্তু বরাবরের অকালপক্ক আলিয়া মাত্র এগারো বছর বয়স থেকে রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)-কে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন। দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন করণ জোহর (Karan Johar) নির্মিত ‘স্টুডেন্ট অফ দি ইয়ার’ ফিল্মে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার পর পাল্টে যায় আলিয়ার জীবন। দশম শ্রেণীতে মাত্র একাত্তর শতাংশ নম্বর পাওয়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন আলিয়া। তিনি মনোযোগী হয়ে পড়েন ফিল্মি কেরিয়ার তৈরি করতে।
বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন আলিয়া। তাঁর প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘ডার্লিংস’। এছাড়াও হলিউডে ডেবিউ করেছেন আলিয়া। তাঁর প্রথম হলিউড ফিল্ম ‘হার্ট অফ স্টোন’ স্ট্রিমিং হবে নেটফ্লিক্সে।
View this post on Instagram