বলিউডের অন্দরে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন কাহিনী। কিন্তু কোনো কোনো কাহিনীর জন্ম দেয় ‘সেলিব্রিটি ইগো’। এমনই এক কাহিনী হল সরোজ খান (saroj khan)-এর দুই কৃতী নায়িকা ছাত্রীর কাহিনী। তাঁরা হলেন শ্রীদেবী(sridevi) ও মাধুরী(Madhuri Dixit)দুজনেই সুন্দরী, দুজনেই বলিউড দিভা। কিন্তু সত্যিই কি ‘মাস্টারজী’ সরোজ খান একটু বেশি পছন্দ করতেন মাধুরীকে?
অন্তত শ্রীদেবীর তাই ধারণা ছিল। অথচ মাধুরী বলিউডে আসার আগে থেকেই একাধিক ফিল্মে একসঙ্গে কাজ করেছেন সরোজ ও শ্রীদেবী। সরোজ ও শ্রীদেবী জুটি বলিউডকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ফিল্ম। মিস্টার বেচারা, জুদাই, খুদা গাওয়াহ, নাগিনা, চাঁদনি, লমহে সবকটি ফিল্মেই শ্রী ও মাস্টারজী ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। গুরু-শিষ্যার বাইরে তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ‘নাগিনা’-র সময় তাঁদের এই বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু গোলমাল বাধল মাধুরী দীক্ষিতের ‘তেজাব’ রিলিজ করার পর। ‘তেজাব’ মাধুরীর ‘এক দো তিন’ গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। এই নাচটির কোরিওগ্রাফার ছিলেন সরোজ। কিন্তু মাধুরীর নাচের এই খ্যাতি শ্রীদেবী ভালোভাবে নিতে পারেননি। অপরদিকে রিলিজ করেছিল শ্রীদেবী ও অনিল কাপুর (anil kapoor) অভিনীত ফিল্ম ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-য় শ্রীদেবীর ‘হাওয়া হাওয়াই’-ও কিন্তু যথেষ্ট বিখ্যাত হয়েছিল। ‘হাওয়া হাওয়াই’-এর কোরিওগ্রাফারও ছিলেন সরোজ খান।
কিন্তু শ্রীদেবী সরোজকে ভুল বুঝেছিলেন। তিনি সরোজকে বলেছিলেন মাধুরীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছেন মাস্টারজী। এই কারণে সরোজ শ্রীদেবীর থেকে অনেক উচ্চমানের ডান্স স্টেপ শিখিয়েছেন মাধুরীকে। সরোজ শ্রীদেবীকে বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, তিনি ও মাধুরী তাঁর কাছে সমান। কিন্তু শ্রীদেবী সরোজের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছরের উপর সরোজ ও শ্রীদেবীর কথা বন্ধ ছিল। পরে সরোজের সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও মাধুরীর স্টারডম কোনোদিন মানতে পারেননি শ্রীদেবী। কিন্তু দুই নায়িকাই বরাবর জনসমক্ষে সৌজন্যবোধ বজায় রেখেছেন।