‘সর্বজয়া’-র মাধ্যমে বহুদিন পর কামব্যাক করেছেন দেবশ্রী রায় (Debashree Ray)। রাজনীতির আঙিনা থেকে আপাতত বহু দূরে রয়েছেন দেবশ্রী। পশুপ্রেমী দেবশ্রীর বাঁচার রসদ পশু-পাখিরা। বহুদিন হল ভেঙে গিয়েছে বিয়ে। দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবেননি দেবশ্রী। অথচ তাঁর প্রাক্তন স্বামী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) তাঁর সাথে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আরও দুইবার বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর একটি কন্যাসন্তান ও তৃতীয় বিয়ের পর পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছে। বহু বছর কেটে গেলেও প্রসেনজিৎ-এর সাথে দেবশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন ঘোরে টলিউডের আনাচে-কানাচে। তৈরি হয় বহু খবর। কিন্তু এই বিবাহ বিচ্ছেদের সত্যতা আজও কেউ জানেন না।
View this post on Instagram
1992 সালে বাংলার প্রতিটি সংবাদপত্রে শিরোনাম তৈরি করেছিল প্রসেনজিৎ-এর সাথে দেবশ্রীর তারকাখচিত বিয়ে। সেই সময় দুজনেই তাঁদের কেরিয়ারে রীতিমত স্টার। প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রী প্রথমে বন্ধু হলেও পরে একসাথে কাজ করতে করতে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত ও বিয়ে। প্রায় সমস্ত সংবাদপত্রে তাঁদের বিয়ের পর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ ও ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। দুজনের ঘনিষ্ঠ ছবি অনুরাগীদের অত্যন্ত পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু এই বিয়ের মেয়াদ বেশিদিন ছিল না। হঠাৎই শোনা গেল বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রীর।
View this post on Instagram
তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্র ও ফিল্ম ম্যাগাজিনগুলি তা কভার করত। মামলা চলাকালীন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituporno Ghosh) নির্মিত ফিল্ম ‘উনিশে এপ্রিল’-এ একসাথে অভিনয় করেছিলেন দেবশ্রী ও প্রসেনজিৎ। কিন্তু যখন এই ফিল্ম রিলিজ করল, তখন তাঁরা বিবাহ বিচ্ছিন্ন। এরপরেও বহু বার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দুজনেই দুজনের প্রতি সৌজন্যবোধ দেখিয়ে সরে গিয়েছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন দেবশ্রী ফিরে যেতে চেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ-এর কাছে। কিন্তু প্রসেনজিৎ চাননি। হঠাৎই দুই তারকার বিবাহ বিচ্ছেদ নাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিকেও। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে কানাঘুষো চলছিল, দেবশ্রী ও প্রসেনজিৎ-এর ইগোর লড়াই-এর কারণে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কয়েক বছর আগে দেবশ্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন প্রসেনজিৎ। তিনি বলেছিলেন, বিয়েটা বড্ড তাড়াতাড়ি করেছিলেন তাঁরা। দুজনেই সেই সময় পরিণত ছিলেন না। ফলে বহু সমস্যার সমাধান প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রীর নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে এক ছাদের তলায় থাকা সম্ভব ছিল না। তবে আজও সেই বাড়িটি দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ যেখানে শুরু হয়েছিল তাঁর ও দেবশ্রীর সংসার। এতগুলি বসন্ত পেরিয়েও প্রসেনজিৎ-এর কাছে আজও প্রেমিকা হিসাবেই রয়ে গিয়েছেন তাঁর ‘চুমকি’। দেবশ্রীও মুখ খোলেন না প্রসেনজিৎ সম্পর্কে। আনমনা হয়ে যান। সত্যিই কি কোনো কাগজ একটি সম্পর্ককে সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে দিতে পারে? প্রশ্নটির উত্তর হয়তো দিয়েছেন দেবশ্রী ও প্রসেনজিৎ, তলিয়ে দেখেননি অনুরাগীরা। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফে ‘গান্ধর্বী’ দেবশ্রী রায়ের জন্মদিনে রইল অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন ‘সর্বজয়া’।
View this post on Instagram