হারিয়ে গেছেন ‘কিং অফ ডিস্কো পপ‘। তাঁকে হারিয়ে সারা ভারতবর্ষ শোকে কাতর। বৃহস্পতিবার তাঁর অন্তিমযাত্রাতে উপস্থিত ছিলেন একাধিক শিল্পী মানুষ। এদিন শেষকৃত্যে উপস্থিত ইলা অরুণ জানিয়েছেন, “ বাপ্পিদার মেয়ে রিমার অবস্থাও বেশ শোচনীয়। সারা পরিবার আশংকায় রয়েছে যে এরপর রিমার না কিছু হয়ে যায়।” স্বাভাবিকই মেয়েরা বাবার খুব কাছেরই হয়। সেই বাবাকে হারিয়ে ভেঙে তো পড়বেনই।
বাবাই ছিলেন একমাত্র হিরো। বাপ্পী লাহিড়ীর মেয়ে রীমা লাহিড়ীর জন্য তার বাবা খুব স্পেশাল ছিলেন। বাবাকে ছাড়া চোখে অন্ধকার দেখতেন রিমা লাহিড়ী। বিশেষত বাবার মরদেহ ভাইকে বহন করতে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাপ্পী দা মেয়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রীমার সাথেই শেষ কথাও বলেন এবং তাঁর কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। শোনা গেছে বাবাকে হারিয়ে মেয়ে রিমা বারংবার অচেতনও হয়ে পড়ছেন।
বাপ্পি লাহিড়ী হলেন সেই নাম যিনি ৮০ এবং ৯০ এর দশকে নিজের ডিস্কো মিউজিকের মাধ্যমে মানুষকে নাচতে বাধ্য করেছিলেন। নিজের গান দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে ছিলেন। মাত্র ৬৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার এশিয়া মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে তাঁকে হারিয়ে ফেলেছে পৃথিবী।
গোল্ড ম্যান বাপ্পি দার মৃত্যুতে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া টা কেমন রোগ! চিকিৎসকদের মতে, এ রোগে রাতে ঘুমানোর সময় নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। কারণ এতে মুখ ও নাকের ওপরের অংশে বাতাস ভরে যায়। বলা বাহুল্য, এই ভয়ংকর রোগে ডিস্কো কিং-এর মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু তিনি তাঁর অমর সৃষ্টি দিয়ে মানুষের মনে জীবিত আছেন এবং থাকবেন।