পাকা হয়ে গিয়েছিল বিয়ের দিনক্ষণ, মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে কি ঘটেছিল তিলোত্তমার সঙ্গে!
আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Medical College) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় নতুন নতুন মোড় উঠে আসছে এক একদিন। শুক্রবার হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ‘তিলোত্তমা’কে। রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অর্ধনগ্ন অবস্থায়, শরীরে একাধিক আঘাত, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ। তারপরেই বিচারের দাবিতে একজোট হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে চিকিৎসক মহল। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন ‘তিলোত্তমা’র বিশেষ বন্ধু।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগামী বছরেই নাকি বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ওই তরুণী চিকিৎসকের। ঘটনার দিন রাত দশটা নাগাদ বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সে সময়ে তরুণী চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যস্ত রয়েছেন, একটু পরে কথা বলবেন। কিন্তু ওটাই শেষ ফোন, তারপরে আর কথা হয়নি তাঁদের। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন ‘তিলোত্তমা’র বিশেষ বন্ধু। দোষীর কঠোরতম শাস্তি হোক, এটাই চান তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণও পেশায় একজন চিকিৎসক। একটি হাসপাতালে কর্মরত তিনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে নাকি দমদমের একটি কোচিং সেন্টারে আলাপ হয়েছিল দুজনের। এই ঘটনায় তছনছ হয়ে গেল দুজনের স্বপ্ন। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন ‘তিলোত্তমা’র বিশেষ বন্ধু।
আরজিকর এর ঘটনার পরেই সঠিক বিচার এবং নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার রাজ্য জুড়ে পালিত হয়েছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। আরজিকর থেকে শুরু করে এনআরএস, মেডিকেল কলেজ, এম আর বাঙুর সহ সোমবার এসএসকেএম এবং বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও কর্মবিরতির ডাক দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকে আরজিকরের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সকালে ইস্তফা দিলেও বিকেলে ফের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করা হয় সরকারের তরফে।