নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনের এসেছিল দুঃসংবাদ। আচমকা ইহলোক ছেড়ে পরোলোকের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Choudhury)। বাবা অঞ্জন চৌধুরীর পরিচয়ে নয়, নিজের পরিচয়ে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন দর্শক ও সমালোচকদের কাছে। আর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তার পত্নী বিদিশা চৌধুরী। কিন্তু এর মাঝেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দিয়েছিলেন তারই দুই ননদ। শোকের সময়েই গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতার দুই বোন। আর এবার তাদের জবাব দিলেন বিদিশাদেবী।
গত ২ রা জানুয়ারি দুপুরের দিকে প্রয়াত হন বাংলা বাণিজ্যিক ছবির পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী। মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওরের কারণেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এর আগে তিনি। আর এই ঘটনার পরেই তার বোন রিনা চৌধুরী একটি গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি সেই সময় বলেন যে তার ভাই সেভাবে যত্ন পায়নি। তিনি এও অভিযোগ করেন যে তার ভাইয়ের ব্যাপারে তাকে এবং তার দিদি চুমকি চৌধুরীকে অন্ধকারে রাখা হয়। এই প্রসঙ্গে সেই সময় কিছুই মন্তব্য করেননি শোকার্ত বিদিশাদেবী। তবে এবার তিনি এই নিয়ে মুখ খুললেন।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত পরিচালকের পত্নী বলেন যে তিনি নাকি এখনো বুঝতে পারছেন না যে রিনা দেবী এমনটা করছেন। তার অভিযোগ, তিনি নাকি শুধুমাত্র পাবলিসিটির জন্যই এসব করছেন। বিদিশাদেবী আরো বলেন যে, তার স্বামীর অসুস্থতার সময় কেউ খোঁজ নেননি অব্দি।তবে তিনি বড় ননদ চুমকি দেবীকে সবসময় পাশে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানান যে এর কারণটা রাগের বশবর্তী হয়েই তিনি করেছেন। ‘অগ্নিশিখা’ ধারাবাহিকের মাঝে নাকি রিনিদেবীকে লেখিকার স্থান থেকে সরিয়ে দেয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই তিনি এমনটা করতে পারেন বলে আশঙ্কা বিদিশা দেবীর।
বাংলা টেলিভিশনের জগতে এক উজ্জ্বল নাম সন্দীপ চৌধুরী। টালিগঞ্জে তিনি ‘বাবু’ নামেই পরিচিত ছিলেন। বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই তুলে নিয়েছিলেন পরিচালকের দায়িত্ব। একাধিক জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ও সিনেমা পরিচালনা করেছেন এই মানুষটি। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ‘এরাও শক্রু’ এবং ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’।