মা কালীর আরাধনায় ব্রতী আপামর বাঙালি। সকলের প্রার্থনা, দূর হয়ে যাক তমসা। আলোয় ভরে উঠুক চারিদিক। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) অভিনীত ফিল্ম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ মুক্তির পথে। ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন রঞ্জন ঘোষ (Ranjan Ghosh)। টিম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অবশ্য কালীপুজোর আগে থেকেই আগাম দীপাবলী পালন শুরু করেছে বাজি পুড়িয়ে। অপরদিকে ঋতুপর্ণা নস্টালজিক তাঁর মেয়েবেলা নিয়ে।
তাঁর কাছে দীপাবলীর অর্থ সারা বাড়ি আলোকিত করে তোলা। শৈশবে ঠাকুমার হাত ধরে যেতেন টালা পার্কে তাঁদের গুরুদেবের উৎসবে। খুব আনন্দ হত। ফিরে এসে প্রচুর মিষ্টি খাওয়া হত। পাড়ায় পাড়ায় বাজি ফাটানোর চল ছিল অনেক বেশি। বাদ যেতেন না ঋতুপর্ণাও। তবে তিনি পছন্দ করতেন ফুলঝুরি ও রংমশাল। খুব আনন্দ করে বাজি কিনতেন সকলে। তবে ঋতুপর্ণার কাছে দীপাবলী বরাবর বিশেষ উৎসব। কারণ কোনও কোনও বছর তাঁর জন্মদিনের আগের দিন অথবা পরের দিন থাকত কালীপুজো। ঋতুপর্ণার জন্মদিন নভেম্বরে। কালীপুজোর সময়কাল অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে। ফলে দ্বিগুণ আনন্দ হত।
কালীপুজোর মতো ভাইফোঁটাও ঋতুপর্ণার কাছে যথেষ্ট স্পেশ্যাল। তাঁর এক পিসতুতো দাদা ছিলেন। ভাইফোঁটার দিন সকালে অফিস যাওয়ার আগে ঋতুপর্ণার কাছে ফোঁটা নিতেন তিনি। অভিনেত্রীর ডাকনাম চুমকি। সেই দাদা বলতেন, চুমকির যা লাগবে তিনি কিনে দেবেন। আজ তিনি নেই। চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। ভাইফোঁটার সময় তাঁর বোন চুমকি আজও মনে করেন দাদাকে।
তবে বছরের বেশ কিছুটা সময় সিঙ্গাপুরে কাটান ঋতুপর্ণা। সেখানেও দীপাবলীতে পার্টি হয়, নাচ-গানের অনুষ্ঠান হয়। ঋতুপর্ণার বাড়িতে কিছুদিন আগেই দীপাবলীর আগাম পার্টি হয়েছে। আলো দিয়ে চারিদিক সাজানো হলেও বাজির ক্ষেত্রে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে শুধু দীপাবলী উদযাপন নয়, ঋতুপর্ণা চান, নারী নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পাক সমাজ। মা যেন নির্যাতিতাদের আলোর বার্তা দেখান। একরাশ আলোর বার্তা নিয়ে আসছে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।
View this post on Instagram