টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যতই নতুন নতুন নায়িকা আসুন না কেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) জনপ্রিয়তা কমার নাম নেই। নব্বইয়ের দশকের প্রথম সারির অভিনেত্রী এখনো বজায় রেখেছেন নিজের পজিশন। তাঁর সময়ের সবথেকে সফল এবং চর্চিত অভিনেত্রী তিনি। কাজ করেছেন প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতাদের সঙ্গেই। সময় বদলেছে, সিনেমার ধরণ বদলেছে। সেই সঙ্গে নিজেকেও বদলেছেন ঋতুপর্ণা। নিজেকে কোনো গণ্ডির মধ্যে আটকে না রেখে তরুণ অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি থেকে সরে এসে ভিন্ন ধরণের সিনেমায় ফোকাস করছেন তিনি এখন। গ্ল্যামারের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয় দক্ষতাও ক্রমশ ক্ষুরধার হচ্ছে তাঁর।
তবে বর্তমানে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীই পা রাখছেন রাজনৈতিক জগতে। সে নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তীর মতো তরুণী অভিনেত্রীরাই হোক, বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ, পোড়খাওয়া নায়িকারা, সকলেই পা বাড়াচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের দিকে। ঋতুপর্ণারও কি তেমন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে? তিনি কবে নামছেন রাজনীতির আঙিনায়?
সম্প্রতি এমনি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ঋতুপর্ণার কাছে। তিনি উত্তরে বলেন, জীবনের রাজনীতিই তিনি ঠিকমতো বোঝেন না। সেখানে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না। ঋতুপর্ণা বলেন, তিনি নাচ, গান, লেখা, সংসার নিয়ে থাকেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। তবে ঋতুপর্ণা বলেন, তাঁর ইন্ডাস্ট্রির যে সমস্ত সহকর্মীরা রাজনীতিতে এসেছেন তাঁদের সকলকেই তিনি সম্মান করেন। অভিনেত্রী বলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি রাজনীতির মানুষ নন। তিনি নতুন নতুন জিনিস সৃষ্টি করতে চান।
প্রসঙ্গত, কলকাতার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেও সংসার রয়েছে ঋতুপর্ণার। দুই জায়গাতেই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকেন তিনি। পাশাপাশি শুটিংয়ের জন্যও প্রায়ই এদিক সেদিক যেতে হয় তাঁকে। আগামীতে প্রসেনজিতের সঙ্গেও একটি ছবিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে। প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর পঞ্চাশতম ছবি ‘অযোগ্য’ আসতে চলেছে। ঋতুপর্ণা বলেন, তিনি শুনেছেন এটি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পেতে পারে। এছাড়াও ‘দাবাড়ু’ নামে ছবিতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গেও অভিনয় করতে চলেছেন ঋতুপর্ণা।
View this post on Instagram