লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তাঁর সাথেই লড়ছেন হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের টিম। লড়ছেন সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury)। নেটদুনিয়ায় বর্তমানে একটাই প্রার্থনা, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তাল কাটল ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)-র ফেসবুক পোস্টে। এক কিশোরীর বাঁচার লড়াইয়ের মাঝে তাতে যেন রসিকতার ছোঁয়া। তিনি লিখেছেন, অনেকেই নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন, কিন্তু যাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয়, তিনি ফেসবুক করেন তো! অর্থাৎ ঋত্বিক বলতে চেয়েছেন, ঈশ্বর ফেসবুক করেন না।
ঋত্বিকের কথাটি নিশ্চয়ই সত্য। কিন্তু মানুষের মধ্যেও কি ভগবানের বাস নেই? প্রাচীনকাল থেকেই এই বিশ্বাস, জীবজগতের প্রতিটি কণায় রয়েছেন এক অসীম শক্তি যাঁর বিভিন্ন নাম। বিভিন্ন ভাবে তিনি আরাধ্য সকলের কাছে। ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনায় সেই অসীমকেই বারবার আহ্বান করছেন নেটিজেনরা। তাঁদের অনেকেই হয়তো ঐন্দ্রিলার অভিনয় দেখেননি। কিন্তু মানুষ হিসাবে একটি মানুষের প্রাণরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছেন তাঁরা। ঐন্দ্রিলা, এক প্রাণোচ্ছল কিশোরী, যিনি সফল অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। ভালোবেসেছেন এক প্রকৃত পুরুষকে। নিজের পোষা সারমেয়রা ঐন্দ্রিলার কাছে সন্তানসম। তাঁর বাঁচার লড়াইয়ের এক কঠিন পর্যায় চলছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। এই পরিস্থিতিতে ঋত্বিকের মতো বিদগ্ধ ও পরিণত অভিনেতার কাছ থেকে রসিকতা আশা করা যায় না।
অপরদিকে রয়েছেন পরমব্রত (Parambrata Chatterjee)। তাঁকে তো এতদিন সকলেই বলে এসেছেন ‘উওম্যানাইজার’। অথচ এই কঠিন মুহূর্তে শুধুমাত্র ঐন্দ্রিলার জন্য নয়, সব্যসাচীর জন্যও প্রার্থনায় বিশ্বাসী তিনি। ভালোবাসার সঠিক অর্থ তিনি বুঝেছেন। রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty) যিনি প্রার্থনায় অন্তত একবার বিশ্বাস করতে চেয়েছেন ঐন্দ্রিলার জন্য। ঋত্বিকের এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের একাংশ। তাঁরা বিদ্রুপ করে লিখেছেন, ঋত্বিকের হাস্যরসাত্মক পোস্টে তাঁদের হাসি পায়নি। তিনি বরং এবার কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করুন। অনেকে লিখেছেন, যুক্তির বাইরেও এমন কিছু রয়েছে যাতে বিশ্বাস করেন তাঁরা। অনেকেই লিখেছেন, অযথা ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীকে খোঁটা না দিলেই চলছিল না ঋত্বিকের!
View this post on Instagram
ঋত্বিকের এই ধরনের আচরণ সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ বর্তমানে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ আবারও আরেকটি স্ট্রোক হয়েছে ঐন্দ্রিলার। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। রক্তচাপ স্থিতিশীল নয়। দেওয়া হয়েছে সিপিআর। ব্রেনের অভ্যন্তরে আবারও জমাট বেঁধেছে রক্ত। ঐন্দ্রিলার চারপাশের পৃথিবী আপাতত একটি মিরাকলের আশায়। ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা, ফিরিয়ে দাও আমাদের ঐন্দ্রিলাকে।