Rohan Bhattacharjee: সদ্যই হারিয়েছেন বাবাকে, মনের কথা খুলে বললেন ‘অপরাজিতা অপু’-এর দীপু
শেষ হয়ে গিয়েছে ‘অপরাজিতা অপু’। দীপু ওরফে রোহন ভট্টাচার্য (Rohan Bhattacharya) আপাতত বেশ কিছুদিন কর্মবিরতি নিয়েছেন দীপুর খোলস থেকে বেরোনোর জন্য। এই প্রথমবার তাঁকে দেখা গেল জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’-এ প্রথমবার এলেন রোহন ও তাঁর মা রুনা ভট্টাচার্য (Runa Bhattacharya)।
দমদমের বাসিন্দা রোহন শৈশব থেকেই মারাত্মক দুষ্টু ছিলেন। মামাবাড়ির পাশের বাড়ির দিদার লাউগাছের গোড়া কেটে দিয়েছিলেন তিনি। আচারে মিশিয়ে দিতেন বালি। রোহন জানালেন, খেলার ছলে বালিকে মশলা ভেবে আচারে মিশিয়ে দিতেন তিনি। রুনা ধরে উত্তম- মধ্যম দিতেন। তবে রোহনের বাবা তাঁকে কখনও মারতেন না। রোহনের বাবার অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে তা হয়ে ওঠেনি। ফলে তিনি চেয়েছিলেন, তাঁর ছেলে অভিনেতা হোক। তখনও হাঁটতে শেখেননি রোহন, বাবা তাঁকে কোলে নিয়ে সিনেমা হলে যেতেন। রোহনের ডাকনাম বান্টি। অনেক সময় বাবা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন, তিনি বড় হয়ে কি হবেন!
ক্লাস ফোরে পড়াকালীন রোহন জবাব দিয়েছিলেন, তিনি অভিনেতা হতে চান। বাবার মনে হয়েছিল, রোহন ঠিক উত্তর দিয়েছেন। তবে রোহনের বাবা বলতেন, অভিনেতা হওয়া সোজা নয়। তার জন্য সাধনা করতে হয়। ক্লাস টুয়েলভের পর একটি ইনস্টিটিউটে অভিনয়ের কোর্স করে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন রোহন। রোহনের অভিনয় জগতে আসার কারণে খুব খুশি হয়েছিলেন তাঁর বাবা। একদিন ফোনে রোহনকে তিনি বলেছিলেন, রোহন তাঁকে সব দিয়েছেন। এরপর তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেও কষ্ট পাবেন না। গত বছর প্রয়াত হয়েছেন রোহনের বাবা।
রোহন মনে করেন, বাবার জন্য তাঁর অনেক কিছু করার ছিল, বাবাকে অনেক দেশ ঘোরানোর ছিল, সেই আক্ষেপ এখনও রয়ে গেছে। রুনাও বললেন, তাঁরা ‘দিদি নং ওয়ান’-এ এসেছেন দেখতে পেলে খুব খুশি হতেন রোহনের বাবা। রোহন মনে করেন, তাঁর বাবা এখনও কোথাও থেকে তাঁদের দেখছেন। রুনাও শোয়ে আসার আগে রোহনের বাবার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন, তাঁর সাথে যেতে। অশ্রুসজল হয়ে ওঠে রুনার চোখ। রচনা (Rachana Banerjee) জিজ্ঞাসা করেন, রোহনের তো এখন অনেক দায়িত্ব! রুনা বলেন, রোহন তাঁর খুব খেয়াল রাখেন। রোহন বাড়ির কাজকর্ম করতে চাইলেও তাঁর মা করতে দেন না।
তবে রোহন ও সৃজলা (Srijala Guha) এখনই বিয়ে করতে চান না। তাঁরা আপাতত নিজেদের কেরিয়ারে মন দিতে চান। রচনা , রোহনকে তাঁর কেরিয়ারের আগামী দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।