Royal Enfield: ৯ দিন নয়, ৩ দিনেই মিলবে বাইকের পার্টস! পূর্ব ভারতের প্রথম ওয়ারহাউস খুলছে বাংলায়
দেশীয় বাজারে আজকাল বাইকের চাহিদা তুঙ্গে। বাইক হল আজকাল মানুষের জীবনের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। যেকোনো দূরত্ব অতিক্রম করতে দু-চাকার এই যান অত্যন্ত সাবলীল। তবে ক্রেতা অনুযায়ী বাইকের মডেল ও চাহিদাও ভিন্ন হয় বাজারে। যেভাবে মধ্যবিত্ত মানুষজন পছন্দ করেন বাজেট সেগমেন্ট বা মিড-রেঞ্জ বাইক, তেমনই আবার অনেক উচ্চবিত্ত ভারতীয় শখ পূরণের জন্য প্রিমিয়াম বাইকও কিনে থাকেন। তাই এদেশে প্রিমিয়াম বাইকের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরোত্তর।
আর ভারতের প্রিমিয়াম বাইকের তালিকায় Royal Enfield-এর চাহিদা বা জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক দশকে। এই বাইককে টেক্কা দিতে পারেনি কোনো কোম্পানিই। পাহাড়ি রাস্তায় বাইক সফর থেকে শুরু করে রাস্তা কাঁপানো শব্দে শহরের জনবহুল এলাকায় যাওয়া, এইসব শখ পূরণ করতে Royal Enfield হল অনেকের প্রথম পছন্দ। আর দীর্ঘ অপেক্ষার পর সম্প্রতি এই বাইক নির্মাতা কোম্পানি ব্যাংকার বুকে খুলতে চলেছে তাদের প্রথম ওয়ারহাউস। অর্থাৎ এবার থেকে রয়্যাল এলফিল্ডের পার্টস পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের অপেক্ষার সময় কমতে চলেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কোম্পানির তরফে পূর্ব ভারতের প্রথম গুদাম ঘর খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য বাংলাকেই বেছে নিয়েছে নির্মাতা সংস্থা। যেহেতু রাজ্যের হাওড়া জেলার সঙ্গে মোটামুটি সব জেলার যোগাযোগ ভালো, তাই হাওড়া জেলার বাগনানকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই গুদাম ঘর খোলার জন্য। ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে খোলা হবে এই ওয়ারহাউস। যেখান থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাইকের পার্টসের যোগান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ যে পার্টসের জন্য এতদিন গ্রাহকদের ৯ দিন অপেক্ষা করতে হত, তা কমিয়ে তিনদিনে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বাইক নির্মাতা কোম্পানি পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে কারণ বিগত একবছরে এই কোম্পানির ব্যবসা সবথেকে বেড়েছে ভারতের এই অংশে। অন্যান্য রংয়ের তুলনায় এইসব রাজ্যে বাইক বিক্রি বেড়েছে ১.৩ গুন। আর সেই কারণেই পূর্ব ভারতের ক্রেতাদের সুবিধা দিতে কোম্পানির এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে গোটা দেশে আর বেশি পরিমাণে শোরুম খুলছে এই কোম্পানি।