মাত্র আড়াই বছর বয়সেই চলে যান বাবা, মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে কি করলেন ঋতব্রতা!
একের পর এক নতুন ধারাবাহিক শুরু ও পুরানো ধারাবাহিক শেষ হওয়ার হিড়িক চলছে বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে। কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ক্যানিং-এর মিনু’ অফ এয়ার হয়ে গিয়েছে কিছুদিন হলো। পরিবর্তে এই স্লটে আসতে এসেছে নতুন ধারাবাহিক ‘নায়িকা নম্বর ওয়ান’। ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করছে ব্লুজ। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতব্রতা দে (Rwitabrata Dey)। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় (Indranil Chatterjee)।
ধারাবাহিকের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, কাহিনী নারীকেন্দ্রিক। একটি মেয়ের জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে নিজেকে নায়িকার ভূমিকায় উত্তরণের কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘নায়িকা নম্বর ওয়ান’। ধারাবাহিকের নায়িকা ঋতব্রতাকে এর আগে টেলিভিশনে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা গেলেও প্রথমবার নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। মেয়েকে নায়িকা হতে দেখার স্বপ্ন ছিল ঋতব্রতার মায়ের চোখে। ঋতব্রতা অবশ্য ভেবেছিলেন পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবেন। কিন্তু মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি অডিশন দেওয়া শুরু করেন ও একসময় অভিনয়ে সুযোগ আসে। এরপর কখন যে তিনি অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলেছেন তা ঋতব্রতা নিজেও জানেন না।
‘নায়িকা নম্বর ওয়ান’-এ ঋতব্রতার চরিত্রের নাম শীলা যার সাথে বাস্তবের অভিনেত্রীর কোনো মিল নেই। শীলার প্রকৃত নাম শীতলা। কিন্তু অভিনয় করতে এসে সে নিজের নাম পরিবর্তন করে হয় শীলা। প্রাণোচ্ছল শীলার মতো নন বরাহনগরের মেয়ে ঋতব্রতা। যে বয়সে শীলা নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে, একই বয়সে ঋতব্রতা নেতাজীনগর উইমেন্স কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
তবে তিনি লড়াকু। মাত্র আড়াই বছর বয়সে পিতৃহারা হয়েছিলেন ঋতব্রতা। মা-মেয়ের লড়াই সংসারকে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বর্তমানে বদ্ধপরিকর ঋতব্রতা এগিয়ে চলেছেন ‘নায়িকা নম্বর ওয়ান’ হওয়ার পথে।
View this post on Instagram