‘চোর’ তকমা নিয়ে সরব হন লোপামুদ্রা, অবশেষে মুখ খুললেন বিচারক জয় সরকার
এই প্রথম সা রে গা মা পা নিয়ে এত বিতর্ক, এত উত্তেজনা ও সমালোচনা চারিদিকে। গত রবিবার ছিল এই গানের রিয়্যালিটি শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে। এদিন জয়ী হন অর্কদীপ মিশ্র। গতকাল প্রায় অধিকাংশ দর্শক ও শ্রোতা ভেবেছিলেন হয় অনুষ্কা নয় নীহারিকা প্রথম স্থান পাবেন। কিন্তু তাদের ইচ্ছায় জল ঢেলে দেয় গতকালের বিচার। প্রথম স্থান পায় অর্কদীপ মিশ্র। দ্বিতীয় স্থান নীহারিকা, তৃতীয় বিদিপ্তা এবং চতুর্থ অনুষ্কা, এবং তিনি জিতে নেন ‘কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ফেসবুক দর্শকদের বিচারে ‘ভিউয়ারস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়াও এদিনের বিশেষ অতিথি ছিলেন শঙ্কর মহাদেবন (Shankar Mahadevan), কেকে (KK), শান (Shaan) ।
এই ঘটনার পর সরব হন অধিকাংশ মানুষ। তাদের দাবি এই শোয়ের সঠিক বিচার হয়নি। এদিন অর্কদীপের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে নেটমাধ্যমে উত্তাল দর্শকরা বলেন বিচারকেরা টাকা খেয়ে বিচার করেছেন’। রাগে, ক্ষোভে বিচারকদের তারা ‘বজ্জাত’, ‘খারাপ’, ‘চোর’ তকমা দিতেও দ্বিধা বোধ করেননি।
অধিকাংশ দর্শকদের কথায়, টাকা দিয়ে ‘সেরা’র সম্মান কিনেছেন অর্কদীপ। এছাড়াও শ্রীকান্ত আচার্য ও জয় সরকারের উপর অনেকেই ক্ষোভ ঢেলে দেন। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ইমন চক্রবর্তী, অর্কদীপ মিশ্র স্বয়ং, জয় সরকারের স্ত্রী লোপামুদ্রা, এবার মোক্ষম জবাব দিলেন জয়া সরকার নিজে। কী বললেন তিনি?
এদিন নিজের সোশ্যাল পেজে এসে কড়া ভাষায় লেখেন, ‘গানকে প্রচণ্ড ভালবাসলে তবেই এই অনুভূতি আসে। এবং সেই অনুভূতির জোয়ারে ভেসে তাৎক্ষণিক কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও চলে আসে। যেটি সোমবার থেকে নেটমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।’ এরপরই আক্রমণাত্মক সুরে জিজ্ঞেস করেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি এই প্রতিয়োগিতার বিচারক হিলেন, ১০ বছর ধরেই কি প্রতিযোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন? এরপর তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আলি আকবর খাঁ সাহেবও এক সময় বলেছিলেন, সঙ্গীত সমুদ্রের মতো। এক জীবনে তাকে জানা অসম্ভব।’ এরপর তিনি স্বীকার করে নেন যে মাত্র ৩০ বছরের জীবনে সঙ্গীত-সমুদ্রের তীরে তিনি নুড়ি কুড়োচ্ছেন মাত্র।