দুয়ারে দুয়ারে সায়নী ঘোষ, কখনো দৌড়ে, কখনো হেসে, জোরকদমে ভোটের প্রচারে
সায়নী ঘোষ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত এটি একটি বিতর্কিত নাম ছিল। চর্চায় ছিলেন সায়নী ঘোষ তার কিছু কথার জেরে। এখন তিনি তৃণমূল পার্টির বাহক। দিদির যাত্রায় তিনিও সামিল।
আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী এখন সায়নী ঘোষ। এবং তার প্রতিপক্ষও একজন হেভিওয়েট। তিনি আসানসোলের ‘ভূমিকন্যা’ অগ্নিমিত্রা পাল। অতএব ২৬ এপ্রিল হবে ভাগ্যের লড়াই।
View this post on Instagram
সম্প্রতি আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে যাচ্ছেন সায়নী। দুয়ারে সরকার কথাটা মাথায় রেখেই প্রত্যেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন সায়নী। উদ্দেশ্য একটা ভোট চাই। অবশ্য যেকোনো প্রার্থীর এটাই বাস্তবিক মুখ্য বিষয়।
View this post on Instagram
সায়নী সম্পর্কে ছোট্ট করে জেনে নেওয়া যাক – অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি টেলিফিল্ম ‘ইচ্ছে ডানার’ মাধ্যমে। এবং এরপর বড় পর্দায় তার প্রথম আত্মপ্রকাশ ‘নটবর নট আউট’ এ একটি ছোট ভূমিকায়। এরপর তিনি রাজ চক্রবর্তীর ‘শত্রু’ তে কিছু অভিজ্ঞ অভিনেতার সাথে কাজ করেন। এরপর তিনি অভিনয় করেন রাজ চক্রবর্তীর সিরিয়াল ‘প্রলয় আসছে’ তে। এবং পরবর্তীতে তিনি ‘একলা চলো’ প্রভৃতিতে অভিনয় করেন।
View this post on Instagram
ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দেখা যায় সায়নীকে। ‘আস্তে লেডিস’ হোক বা ‘চরিত্রহীন ২’ বেশ চুটিয়ে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু বাংলা সিনেমায় সায়নীকে দেখা গেছে।
শিবলিঙ্গ বিতর্কেও জড়িয়ে ছিলেন তিনি। একটি কার্টুন পোস্ট করা হয়েছিল ২০১৫ সালের শিবরাত্রীর সময়ে। ছবিতে দেখানো হয়েছে যে শিবরাত্রী পালন করতে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরাচ্ছেন বুলা দি। ১৯৯৮ সালে ওই কার্টুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়েছিল এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য। সায়নী শিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে কনডম পড়ানোর ছবি পোস্ট করেন। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
অবশ্য, এই ব্যাপারে সায়নী ঘোষ বলেন,“আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট ২০১০ সালে চালু হলেও আমি টুইটারে অ্যাক্টিভ ছিলাম না। ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত টুইটারে অ্যাক্টিভ হয়েছি।” এও বলেন সায়নী, “আমি তেমন কোনও ছবি পোস্ট করিনি। কোনও ধর্মকে ছোট করার বা কারও ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। সম্ভবত আমার টুইটার হ্যাক করা হয়েছিল। এভাবে আমায় দমিয়ে রাখা যাবে না। ২০২১ সালে আমি যেটা মনে করি সেটাই বলি।”